চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়ে আছে নিলামযোগ্য ৯ হাজার ৩০০ কনটেইনার। এর মধ্যে ২৫২টি কনটেইনার রয়েছে ধ্বংসযোগ্য। বন্দরের ইয়ার্ডে প্রায় ১৫ বছর আগের কনটেইরারও রয়েছে। যেখান থেকে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুরাতন কনটেইনারগুলো দ্রুত সরানো না গেলে বন্দরের জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ এনামুল করিম। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিলামযোগ্য ৯ হাজার ৩০০ কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনার সরানো গেলে সে জায়গায় নতুন কনটেইনার রাখতে পারত বন্দর।’
তিনি বলেন, আমরা বন্দর থেকে বার বার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে তাগাদা দিই নিলাম দ্রুত করার জন্য। এছাড়া ধ্বংস করা কনটেইনারগুলো দ্রুত সরানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু কার্যত কোনো কাজই হয়নি। এতো কনটেইনার পড়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেড পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে গত অক্টোবরে চট্টগ্রামে এসে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরকে জঞ্জালমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে আমি প্রথম যখন আসলাম তিন মাস আগে, যা দেখলাম মোটামুটি সে অবস্থাতেই আছে। কিছু হয়তো কমেছে। কিন্তু আরও কিছু বাড়াতে পারতো। এটি গতি নয়। এই স্পিডে কাজ করলে আরও তিন বছরেও শেষ হবে না। আমি এনবিআরকে (জাতীয় রাস্ব বোর্ড) অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি নিলাম শেষ করতে।
নৌ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্টরা আমার কাছ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে যদি নিলাম কর্মকাণ্ড শেষ না হয়, তাহলে বন্দর চেয়ারম্যানকে বলেছি অ্যাকশনে যেতে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা চেষ্টা করব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিলাম কাজ শেষ করতে। নাহলে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশনা মতে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page