
চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৬ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে ডেকেছে বিএনপি। তাদের কেউ কেউ শনিবার রাতে ঢাকায় চলে গেছেন। আর কেউ কেউ রবিবার সকালে ফ্লাইটে ঢাকায় পৌছাবেন।
এমন তথ্য জানিয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকেই। তাদের মতে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে ভার্চুয়ালি সরাসরি কথা বলবেন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক স¤পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ২৬ অক্টোবর ঢাকার গুলশান অফিসে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তফসিলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সূত্র জানান, চট্টগ্রামের প্রতিটি আসনে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকার কারণে প্রার্থী বাছাই করতে বিএনপিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। তাই প্রতিটি আসনের সব মনোনয়ন প্রত্যাশীকেই ডাকা হয়েছে। তবে এর আগে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা আসনভিত্তিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে পৃথকভাবে কথা বলেছেন।
গত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে এসব বৈঠক হয়েছে। মূলত বিশৃঙ্খলা এড়াতে এই উদ্যোগ। এবার চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলার ৩৬টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার গুলশান অফিসে ডেকেছে দলটি।
বিকেল ৪টায় ওই বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা ছাড়াও ভার্চুয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সংসদীয় আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলায় ১৬ আসন। কক্সবাজারে ৪টি আসন, তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৩টি আসন, নোয়াখালীর ৬ টি আসন, লক্ষ্মীপুরের ৪ টি আসন এবং ফেনীর জেলার ৩ আসন।
এর মধ্যে গুলশান কার্যালয়ের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চট্টগ্রামের-১৬ সংসদীয় আসনের ৪৫ মনোনয়ন প্রত্যাশীকে দল থেকে টেলিফোন করা হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে ১৬ জনের নাম চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে যে আসনে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তিনিই ওই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। বাকি প্রতিযোগিরা তার পক্ষে কাজ করবেন। এধরনের কঠিন বার্তা আসবে সভা থেকে।
আলাপকালে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জানান, দল কাকে দেয় তা বলা মুশকিল। খুব টেনশন হচ্ছে। নিজে না পেলে দল যাকে দেয় তার সাথে কাজ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
নেতারা বলেন, ৫ আগস্টের পর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে যে পরিমাণ নেতা বহিষ্কার হয়েছে, অতীতে সেরকম আর হয়নি। দল এবার শৃঙ্খলার উপর খুব বেশি জোর দিয়েছে। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত না মানলে বহিষ্কার হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে তারা প্রত্যেক্যেই আশাবাদী। তাদের আশা দল তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবে।
গত ১৭ বছর দলের আন্দোলন-সংগ্রামে স¤পৃক্ত থাকার বিষয়টি গুরুত্ব দেবে। অসংখ্য মামলার আসামি হয়ে জেল খাটা, পরিবারের উপর নির্যাতন, আয়ের পথ রুটি-রোজগারের পথ বন্ধ করে দেয়া সবকিছুর মূল্যায়ন হবে। এবার ভাগ্যের পরীক্ষা হবে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।
এদিকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইতোমধ্যেই মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে বিরত রাখতে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই।











































