# প্রথমদিনে গেল ২ লাখ ঘনমিটার
# ৩ ট্যাংকে মজুদ থাকবে ছয়দিনের জ্বালানি
প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গার পদ্মা অয়েল ডিপো থেকে পাইপলাইনে জেট ফুয়েল যাচ্ছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। প্রথমদিনে ২ লাখেরও বেশি ঘনমিটার জ্বালানি পাঠানো হয়েছে পাইপলাইনের মাধ্যমে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানান পদ্মা অয়েলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আসিফ মালিক। তিনি জানান, নগরীর পতেঙ্গা গুপ্তখালে পদ্মা অয়েলের প্রধান স্থাপনা থেকে ৫ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে জেট ফুয়েল।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে পতেঙ্গায় প্রধান স্থাপনা (এমআই) থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত জেট এ-১ পাইপলাইনে জেট ফুয়েল সরবরাহ শুরু করা হয়। ওই একদিনে ২ লাখেরও বেশি ঘনমিটার জ্বালানি সরবরাহ করা হয়েছে।
আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও সময়সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহের লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ স¤পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (অপা. ও পরি.) ড. একেএম আজাদুর রহমান এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র মতে, ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের অভ্যন্তরীণ ইপক্সি কোট ও বাহ্যিক থ্রি এলপিই কোট সম্বলিত ন্যুনতম দেড় মিটার আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইনে ঘণ্টায় ১৪০ ঘনমিটার জ্বালানি পরিবহন করতে সক্ষম।
তবে পদ্মা অয়েল এভিয়েশন ডিপোতে ৩টি ট্যাংকের প্রতিটিতে ৪ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার করে জ্বালানি ধারণ করার সক্ষমতা রয়েছে। সেই হিসেবে তিনটিতে মজুদ থাকবে ১২ লাখ ৬০ হাজার ঘনমিটার জ্বালানি। এসব জ্বালানি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ছয়দিনের খোরাক। ছয়দিন পর আবারও ট্যাংকে জ্বালানি মজুদ করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী অমিত কুমার বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩২টি এয়ারক্রাফটের জন্য ২ থেকে আড়াই লাখ ঘনলিটার ফুয়েল লাগে। অনেক সময় ফ্লাইটের সংখ্যা কম হলে জ্বালানিও কম লাগে।
১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের অভ্যন্তরীণ ইপক্সি কোট ও বাহ্যিক থ্রি এলপিই কোট সম্বলিত ন্যূনতম দেড় মিটার আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইনে ঘণ্টায় ১৪০ ঘনমিটার জ্বালানি পরিবহনে হচ্ছে। ৩০ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প স্ক্যাডা পরিচালিত কন্ট্রোল ও অটোমেশন সিস্টেমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
অমিত কুমার বড়ুয়া আরও জানান, গুপ্ত খালে পদ্মার প্রধান স্থাপনা থেকে ট্যাংকলরি যোগে ৮ কিলোমিটার দূরে শাহ আমানতে অ্যাভিয়েশন ডিপোতে জেট এ-১ সরবরাহ করা হতো। এ বিমানবন্দরের চাহিদা দৈনিক ২ লাখ ২৫ হাজার লিটার, বছরে ৬৫ হাজার টন। ট্যাংকলরিতে এ জ্বালানি পরিবহনে খরচ হতো বছরে ৮ কোটি টাকা।
পদ্মা অয়েল কো¤পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও সময়সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল বা জেট ফুয়েল সরবরাহের লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে কমবে সিস্টেম লসও।
You cannot copy content of this page