চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে ‘সম্মানি ভাতা’ দেখিয়ে বোর্ডের তহবিল থেকে কোটি টাকা লোপাটের ঘঠনা ঘটেছে। বিষয়টি দীর্ঘদিন চাপা থাকলেও সম্প্রতি তা জানাজানি হয়। পরে গত ২৩ মার্চ বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. ফজলুল কাদের চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে দুই সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে অভিযোগ ও তদন্ত নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খুলছেন না বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
মাউশি সূত্র জানায়, গত আট বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরপত্র, সনদপত্র লেখা, যাচাই এবং স্বাক্ষরের মতো কাজের জন্য ‘সম্মানি ভাতা’ হিসেবে বোর্ডের তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব অর্থের বড় একটি অংশ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আত্নসাতের এই ঘটনায় বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান, সচিব, উপসচিব, হিসাব বিভাগের প্রধান ও সহকারীরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এর মধ্যে সর্বশেষ বিদায়ী বোর্ড চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, উপসচিব বেলাল হোসেন ও হিসাব শাখার আইয়ুব আলী ও ওসমান গণির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির চিঠিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরপত্র, সনদপত্র লেখা-যাচাই ও স্বাক্ষর ইত্যাদি কাজের জন্য বোর্ডের তহবিল থেকে অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
এ অভিযোগ তদন্তে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার মনোনীত কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।’
কিন্তু এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. ফজলুল কাদের চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
You cannot copy content of this page