
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও পাহাড়খেকো আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল আলম জসিম ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স¤পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুদকের সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন।
দুদক জানায়, তাছলিমা বেগম স¤পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ১৯০ টাকা দেখালেও অনুসন্ধানে তার নামে পাওয়া গেছে ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ২০ টাকা। গোপন স¤পদের পরিমাণ ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৩০ টাকা।
তার বৈধ আয় ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ টাকা, ব্যয় বাদে নেট সঞ্চয় ৩৮ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ টাকা। কিন্তু স¤পদ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি টাকার বেশি, জ্ঞাত আয়ের তুলনায় অঘোষিত স¤পদ ১ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩২ টাকা। এই অভিযোগে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
জহুরুল আলম জসিমের স¤পদের বিবরণীতে ৯ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৭ টাকা দেখালেও তদন্তে পাওয়া যায় ৯ কোটি ৫৪ লাখ ১৭ হাজার ১৯২ টাকা। তিনি ঋণ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫০৭ টাকা, কিন্তু দুদকের যাচাইয়ে গ্রহণযোগ্যে পাওয়া গেছে মাত্র ১ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার ৮১৭ টাকা।
ফলে প্রকৃত স¤পদ দাঁড়ায়, ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৭৫ টাকা, যা তার ঘোষিত নিট স¤পদের চেয়ে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি। এছাড়া তার বৈধ আয় পাওয়া গেছে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ২ হাজার ৪৮৫ টাকা, কিন্তু অর্জিত নিট স¤পদ ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৭৫ টাকা।
অতিরিক্ত স¤পদ ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯২ টাকা। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা হয়েছে।
জহুরুল আলম জসিম জেড এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এ ছাড়া আরিবাহ ডেইরি অ্যান্ড ফুডস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে তার ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে।











































