# চিন্তিত সিএমপির কর্মকর্তারা
# নাশকতা ও নির্বাচনে ব্যবহারের শঙ্কা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গত বছর ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। এ সময় নগরীর ছয়টি থানা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। অস্ত্রাগার ভেঙে লুট করা হয় অস্ত্র ও গুলি।
এসব ঘটনায় নগরীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ৬৩ মামলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও উদ্ধার হয়নি লুন্ঠিত অস্ত্র ও গুলির অধিকাংশ। যা নিয়ে চিন্তিত চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তাদের প্রশ্ন, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ গেল কই? যা যে কোন সময় ব্যবহার হতে পারে নগরীর বিভিন্ন নাশকতামুলক কর্মকান্ডে। এমনকি আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও ব্যবহার হতে পারে। যা নির্বাচন পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত সিএমপি কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীরা থানা থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ৬৩ মামলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আর এসব মামলায় আসামি রয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার জন। যাদের বেশিরভাগই অজ্ঞাত। ফলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর লুন্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের হদিসও মিলছে না। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের পরিসংখ্যান
জুলাই পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে সিএমপির সূত্র মতে, গত বছর ৫ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬ থানার মধ্যে ১০টি থানায় একযোগে আগুন দেয়া হয়। এ সময় ছয়টি থানায় লুটপাট চালানো হয়। থানাগুলো হলো- কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও হালিশহর।
এসব থানার অস্ত্রাগার ভেঙে লুট করা হয় অস্ত্র। অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমেরিকা ও ইতালির তৈরি ৬৫টি নাইন এমএম তারাশ পিস্তল, ৪৬টি চায়না রাইফেল, ৯৫টি শটগান, ২৯টি সেভেন পয়েন্ট ৬২ পিস্তল, ১৭৬৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৩৮০০ চায়না রাইফেলের গুলিসহ নানা অস্ত্র।
এর বাইরে রয়েছে গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড, গ্যাসগান, টিয়ার গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড। ছয়টি থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়। গতবছরের ১৪ আগস্ট ৩৫টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব-৭। তবে লুট হওয়া বেশিরভাগ অস্ত্র ও গুলি এখনও উদ্ধার হয়নি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট করা অনেক অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারপরও কিছু কিছু অস্ত্র এখনও বাইরে রয়ে গেছে।
এ সময় চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম এলাকাটা ভৌগলিকভাবে একটু ভিন্ন। এখানে পাহাড় আছে, সমুদ্রও আছে, প্লেন ল্যান্ডও আছে। অন্য কোথাও ভৌগলিক অবস্থান এরকম নয়। এ জায়গায় সমস্যাটা আছে। তারপরও কিছু কিছু উদ্ধার হচ্ছে, ইলেকশনের আগে আরও উদ্ধার হবে।
কোন থানা থেকে কত অস্ত্র লুট
থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারের বিবরণমতে, গত বছর ৫ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালী থানার অস্ত্রাগারের তালা ও দেয়াল ভেঙে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়েছে। অস্ত্রগুলো হলো- নাইন এমএম তারাশ পিস্তল ২৩টি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ৬৩টি, গুলি ৫৫৭টি, চায়না রাইফেল তিনটি, রাইফেলের গুলি ২৬৮ রাউন্ড, চায়না এসএমজি দুটি, ম্যাগাজিন দুটি, গুলি ৬০ রাউন্ড, ১২ বোর শটগান ১০টি, শটগানের কার্তুজ ২১৮২ রাউন্ড, শর্ট ও লং রেঞ্জ শেল ১০টি এবং সাউন্ড গ্রেনেড ১০টি।
এ ঘটনায় গত বছরের ২২ আগস্ট এ ঘটনায় ৪০ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস। মামলায় শতাধিক আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও লুন্ঠিত অস্ত্রগুলো এখনো উদ্ধার হয়নি বলেন জানান কোতোয়ালী থানার ওসি মো. আবদুল করিম।
পাহাড়তলী থানা: গত বছর ওই সময়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৪ আগস্ট ১৫ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন এসআই এনামুল হক। মামলায় কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও লুন্ঠিত অস্ত্রগুলো উদ্ধার হয়নি বলেন জানান ওসি জসিম উদ্দিন।
ওসির তথ্যমতে, লুট হওয়া অস্ত্রগুলো হলো- নাইন এমএম তরাশ পিস্তল ১০টি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ২০টি, পিস্তলের গুলি ২০০ রাউন্ড, সেভেন পয়েন্ট ৬২ পিস্তল ১০টি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ২০টি, গুলি ১৬০ রাউন্ড, চায়না রাইফেল ১৪টি, চায়না এসএমজি চারটি, এসএমজির ম্যাগাজিন ১০টি, শটগান ৩০টি, শটগানের ম্যাগাজিন ১০টি, গ্যাসগান চারটি, চায়না রাইফেলের গুলি ৫৬০ রাউন্ড, চায়না এসএমজির গুলি ৩০০ রাউন্ড, শটগানের রাবার কার্তুজ ৩৮৪ রাউন্ড, লেডবল কার্তুজ ১২০০ রাউন্ড, গ্যাস শেল লং রেঞ্জ ৬০টি, শর্ট রেঞ্জ ৪০টি, সাউন্ড গ্রেনেড ৪০টি, টিয়ার গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড ৩৫টি, টিয়ার গ্যাস ¯েপ্র দুটি। এছাড়া থানায় সাধারণ মানুষের জমা দেয়া অস্ত্রের মধ্যে ১০টি একনলা বন্দুক, সাতটি রিভলবার, পাঁচটি পিস্তল, একটি ২২ বোরের রাইফেল এবং ৩৬৮ রাউন্ড গুলি লুট করে হামলাকারীরা।
পতেঙ্গা থানা: গত বছর ৫ আগস্ট নগরীর পতেঙ্গা থানায় হামলাকারীরা থানার অস্ত্রাগার, এয়ারপোর্ট পুলিশ ফাঁড়ি, টানেলের নিরাপত্তা গার্ড, এসএফের অস্ত্র ও গুলি লুট করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৪ আগস্ট ২৫ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন এসআই কে এম নাজিবুল ইসলাম তানভীর।
মামলার এজাহার মোতাবেক লুট করা অস্ত্রগুলো হলো- নাইন এমএম তারাশ পিস্তল নয়টি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ১৯টি, গুলি ১৭৯ রাউন্ড, সেভেন পয়েন্ট ৬২ পিস্তল সাতটি, ম্যাগাজিন ১৫টি, পিস্তলের গুলি ৯০ রাউন্ড, চায়না রাইফেল ১৫টি, রাইফেলের গুলি ৫১৩ রাউন্ড, চায়না এসএমজি ছয়টি, এসএমজির ম্যাগাজিন ২৩টি, গুলি ৭২০ রাউন্ড, ১২ বোর শটগান ৩০টি, শটগানের ম্যাগাজিন নয়টি, কার্তুজ ১৩১৭ রাউন্ড, গ্যাসগান নয়টি, টিয়ারশেল লঞ্চার ছয়টি, লং রেঞ্জ শেল ৭৫টি, শর্ট রেঞ্জ শেল ১১টি, সাউন্ড গ্রেনেড চারটি, টিয়ার গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড আটটি। এছাড়া সাধারণ মানুষের জমা রাখা বিভিন্ন ধরনের নয়টি বন্দুক ও গুলি লুট করা হয়েছে বলে জানান ওসি শফিকুল ইসলাম।
ডবলমুরিং থানা: গত বছর একই সময়ে নগরীর ডবলমুরিং থানা থেকে যেসব অস্ত্র লুট করা হয়েছে তা হলো- তারাশ পিস্তল ১০টি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ১১টি, গুলি ১০৯ রাউন্ড, চায়না এসএমজির গুলি ২২৫ রাউন্ড, শটগানের কার্তুজ ৮৯২ রাউন্ড, লং রেঞ্জ শেল চারটি, শর্ট রেঞ্জ শেল দুটি ও টিয়ার গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড ছয় রাউন্ড। এছাড়া সাধারণ মানুষের জমা রাখা চারটি পিস্তল, একটি একনলা ও একটি দু‘নলা বন্দুক এবং ৯৪ রাউন্ড গুলি লুট করা হয়।
এ ঘটনায় গত বছর ২৭ আগস্ট ১২ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এসআই ইমাম হোসেন। মামলায় কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ লুন্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানান ওসি বাবুল আজাদ।
ইপিজেড থানা: একইভাবে নগরীর ইপিজেড থানার অস্ত্রাগার, সিইপিজেড ও নিউমুরিং পুলিশ ফাঁড়ি থেকে যেসব অস্ত্র ও গুলি লুট করা হয়েছে তা হলো- নাইন এমএম পিস্তল সাতটি, পিস্তলের গুলি ১৭৪ রাউন্ড, ম্যাগাজিন ১৭টি, সেভেন পয়েন্ট ৬২ পিস্তল ছয়টি, গুলি ১১৯ রাউন্ড, ম্যাগাজিন ১৫টি। চায়না রাইফেল ১১টি, রাইফেলের গুলি ৪৩৬ রাউন্ড, চায়না এসএমজি চারটি, এসএমজির গুলি ৩০০ রাউন্ড, ম্যাগাজিন ২৬টি, শটগান ৪৫টি, শটগানের কার্তুজ ৩১৭৮ রাউন্ড, গ্যাসগান ১২টি, গ্যাস শেল লং রেঞ্জ ১৪২ রাউন্ড, শট রেঞ্জ ১১৩ রাউন্ড, টিয়ারশেল ছয়টি, সাউন্ড গ্রেনেড ১৯টি, গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড ২০টি ও একনলা বন্দুক একটি।
এ ঘটনায় গত বছরের ২২ আগস্ট অজ্ঞাতনামা ৩০ হাজার জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এসআই শাকিলুর রহমান। মামলায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হলেও লুন্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়রিন বলে জানান ইপিজেড থানার ওসি মো. জামির হোসেন জিয়া।
হালিশহর থানা: একইভাবে হালিশহর থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট করা হয় নাইন এমএম তরাশ পিস্তল ছয়টি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ১২টি, পিস্তলের গুলি ৯৮ রাউন্ড, সেভেন পয়েন্ট ৬২ পিস্তল ছয়টি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ১০টি, পিস্তলের গুলি ৭৭ রাউন্ড, চায়না এসএমজি একটি, শটগান একটি, চায়না রাইফেলের গুলি ৯০ রাউন্ড, শটগানের কার্তুজ ৫১৮ রাউন্ড, গ্যাস শেল লং রেঞ্জ একটি, সাউন্ড গ্রেনেড দুটি, টিয়ার গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড একটি।
এ ব্যাপারে গত বছরের ২৭ আগস্ট ১৬ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হালিশহর থানায় মামলা করেন এসআই তৌফিকুল ইসলাম। মামলায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি লুন্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ। হালিশহর থানার ওসি মো. জাকির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া বন্দর থানার হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। ফাঁড়ি থেকে একটি শটগান, ১১ রাউন্ড কার্তুজ ও পাঁচ রাউন্ড গুলি লুট করা হয়। এ ব্যাপারে ছয় হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বন্দর থানায় মামলা করেন এসআই কিশোর মজুমদার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী জিয়া আহসান হাবিব বলেন, বিগত স্বৈরশাসন আমলে সাধারণ মানুষ পুলিশের উপর ক্ষুব্দ ছিল। কারণ স্বৈরশাসকের অনুগত কিছু পুলিশ সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল। এ কারণে ক্ষুব্দ মানুষ বিজয় উল্লাস থেকে থানায় হামলা ও অস্ত্র-গুলি লুট করতে পারে। তবে তার হদিস না পাওয়ার কিছুই নেই। বরং শষ্যের মধ্যে ভুত থাকলে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার নাও হতে পারে। বিষয়টি সঠিক তদন্তে তদন্ত কমিশন দরকার ছিল। আর এখন নির্বাচন সামনে। এসব অস্ত্র নির্বাচনে ব্যবহার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বৈকি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন জোরদার হওয়ার পর ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা শুরু করে। তবে প্রথমদিন লোহার রড, লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করা হয়েছিল বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য।
কিন্তু পরদিন ১৬ জুলাই থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা রণমূর্তি নিয়ে সশস্ত্র হয়ে একেবারে প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর। সেদিন পুলিশ ছিল নির্বিকার। এ সময় নগরীর ষোলশহরে প্রাণ হারায় তিনজন। এরা হলেন, ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম, ছাত্রশিবিরের কর্মী ফয়সাল আহমেদ শান্ত এবং ফার্নিচারের দোকানকর্মী মো. ফারুক আহমেদ।
১৬ জুলাই থেকে সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট পর্যন্ত নগরীর ষোলশহর, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, জিইসি মোড়, নিউমার্কেট মোড়, শাহ আমানত ব্রিজ, বহদ্দারহাটসহ আরও বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলা করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। ১৮ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাটে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় তরুয়া।
এমনকি ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাসের মধ্যেও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত দু‘জন নিহত হয়। ফলে বিক্ষুব্দ জনতা নগরীর ছয়টি থানা ও আরও কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। আগুন ধরিয়ে দিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে।
You cannot copy content of this page