বৃহস্পতিবার- ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

টেস্ট ইতিহাসে রেকর্ড জয় বাংলাদেশের

আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে একমাত্র টেস্টে বিশাল ব্যবধানে জয় পেল বাংলাদেশ। শনিবার চতুর্থ দিনেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তারা, অল আউট হয় ১১৫ রানেই। আর তাতেই এলো স্বাগতিকদের ৫৪৬ রানের জয়।

আফগানদের বিপক্ষে এ টেস্টে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স ছিল টাইগারদের। ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং মাহমুদুল হাসান জয় খেলেছেন দারুণ, মিডল অর্ডারের দায়িত্ব ভালোভাবেই সামলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক,লিটন দাস,মুশফিকুর রহিমরা।

ব্যাট হাতে বড় স্কোর এনে দেয়ার পর বোলিংয়ে নিজেদের দায়িত্ব দাপটের সাথে পালন করেছেন টাইগার বোলাররা। আফগান ব্যাটারদের গতি ও স্পিন ঘূর্ণিতে করেছেন কুপোকাত। প্রথম এবং দ্বিতীয় দুই ইনিংসেই ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত খেলেছে টাইগাররা।

আরও পড়ুন :  আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্র শনাক্ত করা যাচ্ছে না

প্রথম ইনিংসে জয়ের সাথে ২১২ রানের রেকর্ড জুটিতে শান্ত করেছিলেন দুর্দান্ত এক শতক। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও তার ব্যাটে এসেছে এক সময়োপযোগী সেঞ্চুরি। সাথে জাকির, জয়, মুমিনুল,লিটন, মুশফিকদের যোগ্য সঙ্গে ৬৬২ রানের পর্বতসম এক লক্ষ্য দাঁড়ায় আফগানদের সামনে।

প্রথম ইনিংসে টাইগারদের হয়ে দুর্দান্ত খেলেন দুই ব্যাটার জয় এবং শান্ত। শান্তর নজরকাড়া ১৪৬ রানের সাথে জয় খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। আর মুশফিক ও মিরাজের অর্ধশতক ছোঁয়া ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। বল হাতে আফগানদের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার নিজাত মাসুদ।

এদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়াতে পারেনি আফগানরা। ৩৯ ওভার খেলে দ্বিতীয় দিন শেষ হবার আগেই ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৬ রানের লিড ব্যাটিং শুরু করে জাকির-জয়রা। জয় এদিন ব্যর্থ হলেও আগের ইনিংসে এক রান করে আউট হওয়া জাকির ৭১ রান করে রান আউট হন, শান্তর সাথে গড়েছিলেন ১৭৩ রানের জুটি।

আরও পড়ুন :  আমানত থেকে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক!

দ্বিতীয় ইনিংসেও শান্ত করেছেন দুর্দান্ত এক শতক। সেই সঙ্গে ২২ মাস পর সেঞ্চুরির দেখা পান সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও। মুমিনুল-লিটনের ১৪৩ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ৬৬২ রানের পর্বত সমান এক লক্ষ্য দাঁড়ায় আফগানদের সামনে।

এদিকে আফগানদের বিপক্ষে ৫৪৬ রানের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। প্রায় দেড়শ বছর ও আড়াই হাজার টেস্টের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় আছে ২টি। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানে জয়ী হয় ইংল্যান্ড। এর ছয় বছর পর ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর আর কোনো দলই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পায়নি এত বড় ব্যবধানে জয়ের দেখা।

আরও পড়ুন :  আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্র শনাক্ত করা যাচ্ছে না

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তাই বাংলাদেশের এ জয় তৃতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিয়েছে। আর গত ৮৯ বছরের ইতিহাসে কোনো দলই পায়নি এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়। তাই প্রায় নব্বই বছরের মধ্যে এটাই টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের জয় হিসেবেও উল্লেখ করা যায়। এদিকে টাইগারদের এ জয় সাদা পোশাকের খেলায় নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রানের জয় হিসেবেও করেছে রেকর্ড।

আরও পড়ুন