এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী টুর্নামেন্টে বাছাই পর্ব থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্স আপ আগামী বছর মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশ আট গ্রুপের সেরা রানার্স আপ দলগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থেকে মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে।
আজ রবিবার (১০ আগস্ট) গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারত। ঐ ম্যাচে ১-৬ গোলের ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ ৬ পয়েন্ট ও ৫ গোল গড় নিয়ে অন্য গ্রুপের দিকে তাকিয়ে ছিল।
আর সেই আশায় আলো জ্বালাল 'ই' গ্রুপ। এ গ্রুপে চীন ও লেবানন দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট ছিল। ঐ ম্যাচ ড্র হলে বাংলাদেশ সংকটে পড়ত। চীন বড় ব্যবধানে জেতায় লেবাননের পয়েন্ট ৬ থাকলেও গোল গড় দাড়ায় -৬।
আবার ‘বি’ গ্রুপে কিরগিজস্তান ও ভিয়েতনামের ম্যাচটিও ছিল বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিরগিজস্তান ঐ ম্যাচে জিতলে ভিয়েতনাম, কিরগিজস্তান ও হংকংয়ের সমান ৬ পয়েন্ট হতো। তখন হেড টু হেড হিসেবে কিরগিজস্তান গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো। সেক্ষেত্রে ভিয়েতনাম গ্রুপ রানার্স আপ হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের চেয়ে। এত জটিলতা হয়নি ভিয়েতনাম ৩-০ গোলে জেতায় হংকংয়ের ছয় পয়েন্ট থাকলেও গোল গড় -৩।
এফ গ্রুপে ইরানেরও ছয় পয়েন্ট থাকলেও তাদের গোল গড় মাইনাস। এ এবং ডি গ্রুপের রানার্স আপ দলের পয়েন্ট মাত্র ৪। ফলে বাংলাদেশ বাকি তিন সেরা রানার্স আপ দলের মধ্যে রয়েছে।
সি গ্রুপে রানার্স আপ পজিশনে রয়েছে চাইনিজ তাইপে। তাদের পয়েন্ট ৬ আর গোল ব্যবধান ৭। তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই গোলের বেশি ব্যবধানে হারলে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে গোল ব্যবধানে। জি গ্রুপে উজবেকিস্তান-জর্ডানের পয়েন্টও ৬। দুই দলেরই গোল ব্যবধান যথাক্রমে ১৬ ও ১১। দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে ৪-৫ গোলের ব্যবধানে হারলেও দুই দলই চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারবে।
নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে হার এড়ালেই ইতিহাস বাংলাদেশের মেয়েদের। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে পনেরো মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার স্বপ্নটা তখন আরো বড় হতে থাকলো বাংলাদেশের।
তবে সেই উচ্ছ্বাস বেশি সময় টেকেনি। তৃষ্ণার গোলে লিড নেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই সমতায় ফেরে বাংলাদেশের চেয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা কোরিয়া। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে সমতা। দুর্দান্ত একটা লড়াইয়ের প্রত্যাশাই ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খোলস থেকে বেরিয়ে আসলো কোরিয়ান মেয়েরা। আগের ম্যাচে লাওসের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টের জয়ে তাদের যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের জালে গোল উৎসব করে।
দ্বিতীয়ার্ধে লিড নিতে বেশি সময় নেয়নি কোরিয়ান মেয়েরা। বাংলাদেশের দুর্বল রক্ষণের পুরোপুরি সুবিধা নিয়ে নেয় র্যাংকিংয়ে ২১ নম্বরে থাকা দলটি। ৪৮ মিনিটে ২-১ করে কোরিয়া। ৮৭ মিনিটের পর পিটার বাটলারের দলের রক্ষণভাগ বালুর বাঁধের মতো ভেঙ্গে দেয় কোরিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় দুর্বল পাসিং ও রিসিংভিংয়ের মহড়া চলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রদের। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোরিয়া একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ৬০ মিনিটে ৩-১ করা কোরিয়া শেষ চার মিনিটে করে তিন গোল। ৮৬ মিনিটে ৪-১, ৯০ মিনিটে ৫-১ এবং ইনজুরি সময়ে করে ৬-১।
You cannot copy content of this page