চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন-এর অন্তর্ভুক্ত রেলওয়ে কেন্দ্রীক রেজিস্ট্রার্ড ট্রেড ইউনিয়ন বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগ (বিআরইএল)-এর চট্টগ্রাম অঞ্চল আয়োজিত এক বিশাল মিছিল ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট ২০২৫ ইং) সকাল থেকে রেলওয়ে কারখানা পাহাড়তলী, ডিআরএম/চট্টগ্রাম অফিস পাহাড়তলী, ডিজেল ওয়ার্কশপ, লোকো ডিপো এবং রেলওয়ে স্টোরস পাহাড়তলী অফিস এলাকা জুড়ে হাজারো শ্রমিক মিছিল বের করেন। পরে ওই মিছিল এক শ্রমিক সমাবেশে রূপ নেয়।
বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ৩ দফা দাবি এবং ন্যায্য ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরইএল-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব আক্তারুজ্জামান।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি জনাব সেলিম পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জনাব আবদুল আজিজ, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মনিরুল ইসলাম মজুমদার, জয়েন্ট সেক্রেটারি জনাব ওমর ফারুক, দপ্তর সম্পাদক আসাদুল্লাহ শিশির, কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মো. ইমরান হোসেনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও শাখার নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেক্রেটারি জনাব ওমর ফারুক বলেন—রেলওয়ে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেল ও ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করে আসছে। শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে গড়া এই প্রতিষ্ঠান আজো বঞ্চনার শিকার। আমরা চাই সরকার দ্রুত ৩ দফা ও ৭ দফা দাবি পূরণের পদক্ষেপ নিক। অন্যথায় শ্রমিকরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
শ্রমিক নেতারা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, রেলওয়ের উন্নয়ন ও জনস্বার্থে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তারা দাবি করেন—বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি ৩ দফা ও ৭ দফা পূরণে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কোনো গড়িমসি বরদাশত করা হবে না।
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে এবং দেশব্যাপী রেলওয়ে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি গড়ে তোলা হবে। সমাবেশ শেষে রেলওয়ে শ্রমিকরা স্লোগানে স্লোগানে পুরো পাহাড়তলী এলাকা মুখরিত করে তোলেন।
You cannot copy content of this page