শনিবার- ৩০ আগস্ট, ২০২৫

ধর্মীয় অনুভূতিতে ফের আঘাত, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা

ধর্মীয় অনুভূতিতে ফের আঘাত, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা

প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে ‘ঈদ মোবারক’ লেখার পাশে কুকুরের ছবি ব্যবহার করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রকাশক ও গ্রাফিকস ডিজাইনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।এর আগেও ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে মুহাম্মদ বিড়াল লিখে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে দৈনিক প্রথম আলো। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামানের আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে অভিযোগ তদন্ত করে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইমরান হোসেন এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন :  ইসলামী ব্যাংকের ১৬০০ কোটি টাকা গায়েব

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৩০ মার্চ প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার দ্বিতীয় , তৃতীয় এবং চতুর্থ কলামের হেডলাইনে ঈদ মোবারক নামক একটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করে। যা কুকুরের ছবিসংবলিত। ওই ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎসবকে অবমাননা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :  পিআরও‘র আড়ালে বেলাল কেজিডিসিএলের ঠিকাদারও?

প্রথম আলোর মতো একটি জাতীয় পত্রিকা মুসলিম ধর্মের ঈদের মতো একটি পবিত্র ইবাদতকে কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেনি। একটি কুকুরের লোলুপ হাস্যরসাত্মক কার্টুনের সঙ্গে মানুষের আনন্দকে চিত্রায়িত করে ঈদের পবিত্রতা এবং মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে।

এই কাজটি একটি সচেতন এবং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের মতো মহান ধর্মীয় উৎসবকে অপমানিত এবং হেয় করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আসামিরা স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎসবকে তাদের দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় চিত্রায়িত ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঈদের মতো পবিত্র ইবাদতকে হেয় প্রতিপন্ন ও অবমাননা করেছে।

আরও পড়ুন :  কর্ণফুলী টানেলে ৫৮৫ কোটি টাকা লোপাট

এর আগে ওয়ান ইলেভেনের প্রাক্কালে প্রথম আলোর সহ প্রকাশনা আলপিনের কভার পেইজে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে মুহাম্মদ বিড়াল লিখে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। এ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিবাদের মুখে তড়িঘড়ি ক্ষমা চেয়ে পার পান প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

ঈশান/মখ/মসু

আরও পড়ুন