
চট্টগ্রামের রাউজানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিএনপি পরচিয়দানকারী কয়েকজন ব্যক্তি। শনিবার (১ মার্চ) দিনগত রাতে রাউজান পৌরসভার গহিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া। তিনি বলেন, এক আসামিকে আটক করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। তৃতীয় পক্ষের কিছু ব্যক্তি ওই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। লোকগুলো বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত।
সূত্রমতে শনিবার রাতে গহিরায় কাজী সাফায়েত কালাম আরিয়ান নামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মী অবস্থান করছে মর্মে সংবাদ পেয়ে সন্দিগ্ধ ওই আসামিকে আটক করতে যায় পুলিশ। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার পরিচয় দিয়ে জসিম, রাকিব ও মারুফ নামে তিনব্যক্তি ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশের কাছ থেকে কেড়ে নেয়।
সংবাদ পেয়ে কাওসার নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাউজানের এক ছাত্র প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গেলে তাকে হেনস্তা ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাউজানের এক ছাত্র প্রতিনিধির। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাউজানের ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি পোস্ট করা হয়। সেখানে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বিএনপি নেতা জসিম শেল্টার দিচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রাউজানে ছাত্রলীগ কর্মী কাজি সাফায়েত কালাম আরিয়ান নামে গ্রেফতারকৃত আসামিকে পুলিশের হাত থেকে চিনিয়ে নিয়েছে-জসীম, রাকিব, মারুফ বিএনপির কথাকথিত নেতা। বৈষম্যবিরোধী বিপ্লবীকে বাধা দেয়ায় জিম্মি করে ফেলে বিএনপি নেতা জসিম। এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি কাউসারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাকে হেনস্তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়। বিবৃতির শেষাংশে লেখা ছিল, এই অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তারা যেন ভবিষ্যতে রাউজানে আর প্রবেশ করতে না পারে, ফ্যাসিস্টের পক্ষে কোনো শক্তিকে ছাত্রজনতা আর দাঁড়াতে দিবে না। কে এই জসিম? ১৬ বছর কোথায় ছিল সে? কত টাকা খেয়েছে। খতিয়ে দেখা হোক। তার ব্যাংক ব্যালেন্স, সম্পত্তি খতিয়ে দেখে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।