Skip to content

সোমবার- ২ জুন, ২০২৫

প্রতিহিংসার বলী চট্টগ্রাম জিয়া স্মৃতি জাদুঘর

বিনষ্ট হতে চলেছে ইতিহাসের স্মারক

প্রতিহিংসার বলী চট্টগ্রাম জিয়া স্মৃতি জাদুঘর

বিগত সরকারের প্রতিহিংসার বলী চট্টগ্রাম জিয়া স্মুতি জাদুঘর। ফলে সংস্কারের অভাবে জাদুঘরটির দেয়াল ফেটে হা করে আছে। খসে পড়েছে পলেস্তারা। বৃষ্টি হলেই ছাদ ছুঁইয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি। ভেঙে গেছে গ্যালারির বোর্ডগুলোও। এতে বিনষ্ট হওয়ার পথে ইতিহাসের স্মারক জিয়ার স্মৃতি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজেটের অভাবে উন্নয়ন তো দূরের কথা দীর্ঘ দেড় দশক ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজও হয়নি এই জাদুঘরের। ফলে ভবনটি একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায়ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জানতে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) কথা হয় জাদুঘরের উপ-কিপার (রুটিন দায়িত্ব) অর্পিতা দাশ গুপ্তের সঙ্গে। তিনি বলেন, জাদুঘরের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি ওনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

সম্প্রতি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের সময় বলেন, এটা শুধু চট্টগ্রামের বিষয় নয়, জিয়াউর রহমানের পূর্ণাঙ্গ জীবন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা, কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে শুরু করে উনার পূর্ণাঙ্গ জীবনী, রাষ্ট্র পরিচালনায় উনি কী কী সিগনিফিকেন্ট কাজ করেছেন, সবগুলো জিনিস যেন আসে। এ জিনিসগুলো কীভাবে প্রপারলি অডিয়েন্সের কাছে রিপ্রেজেন্ট করা যায়, এজন্য একটা কিউরেটর টিম লাগবে, সেই টিমটা আমরা তৈরি করছি।

উপদেষ্টা বলেন, জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছি। এটা ১৫-১৬ বছর অলমোস্ট ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। ২০০৬ সালের পর থেকে সংস্কারের কোনো ছোঁয়াই পড়েনি শতবর্ষী ঐতিহাসিক এই স্থাপনায়। টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে জাদুঘরটি সংস্কারে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ফলে জরাজীর্ণ ভবনটিতে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, এটা আমার মন্ত্রণালয়ের একটা প্রতিষ্ঠান। এটার দেখভাল আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এজন্য মাস তিনেক আগে আমরা মন্ত্রণালয়ে একটা ইন্টারনাল সভা করেছি। সেই মিটিংয়ে প্রথম কাজটা আমরা করেছি, এটার যে বরাদ্দ ছিল, সেটা আমরা দ্বিগুণ করেছি। শুধু বরাদ্দ বাড়ানোই গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এটাকে একটা পূর্ণাঙ্গ মিউজিয়ামে রূপান্তর করা। সেটা করার জন্য দরকার হচ্ছে প্রপার কিউরেটর, যারা বিষয়গুলো জানবেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র কাজীর দেউড়িতে ৩ দশমিক ১৭ একর জায়গা নিয়ে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরটির অবস্থান। ১৯১৩ সালে ব্রিটিশরাজ তথা ভারত সম্রাট ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন ইমারতটি নির্মাণ করেন। ব্রিটিশ আমলে এটি লাট সাহেবের কুঠি নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তী সময়ে এটি সার্কিট হাউস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

১৯৮১ সালের ৩০ মে এই ভবনে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নির্মমভাবে শহীদ হন। পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ৩ জুন অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৯৯৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জিয়া স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের একটি শাখা জাদুঘর হিসেবে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে কিউরেটরিয়াল, প্রশাসন, নিরাপত্তা, লাইব্রেরি, প্রকৌশল, ডিসপ্লে ও হিসাব শাখা নিয়ে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। জাদুঘরে একটি গবেষণামূলক লাইব্রেরি, একশ আসনবিশিষ্ট একটি সেমিনার হল এবং দেড়শ আসনবিশিষ্ট একটি অডিটোরিয়াম রয়েছে।

এ ছাড়া জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের ১৭ গ্যালারীতে প্রায় সহস্রাধিক বস্তুগত নিদর্শন রয়েছে। এক নম্বর গ্যালারীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব সময়ে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা। বিশেষ করে তার সৈনিক জীবনের বিভিন্ন দিক সেখানে স্থান পেয়েছে।

দ্বিতীয় গ্যালারীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নানা নিদর্শন। কালুরঘাটের বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার স্মৃতি বিজড়িত বেতারযন্ত্রসহ নানান সামগ্রী সেখানে স্থান পেয়েছে।

তৃতীয় গ্যালারী সেক্টর ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের নানা কর্মকান্ড ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের প্রোট্রেট।

চতুর্থ গ্যালারীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সংঘটিত ঐতিহাসিক যুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশলগত রণপ্রস্তুতির ঘটনা ডিউরমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

পঞ্চম গ্যালারিতে রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে একটি পোস্ট অফিস স্থাপনের নিদর্শন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন জেড ফোর্সের অধিনায়ক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ওই এলাকায় একটি ডাকঘর স্থাপন করেন।

ষষ্ট গ্যালারিতে জিয়াউর রহমানের সংগ্রামী সৈনিক জীবনের নানা চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে জিয়াউর রহমানের সামরিক পোশাক, ব্যাগ, টুপি, ছড়িসহ নানা সামগ্রী।

সপ্তম গ্যালারিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্নে জিয়াউর রহমানর হাতে লিখা বিএনপির আদর্শ, উদ্দেশ্য সম্বলিত মেন্যুফেস্টু স্থান পেয়েছে। এছাড়া সেখানে আছে বিএনপির দলীয় পতাকা এবং মনোগ্রামের ছবি।

অষ্টম গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে জিয়াউর রহমানের বেশকিছু বিরল ছবি।

নবম গ্যালারিতে রয়েছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বঙ্গভবনে অফিসকরাকালীন দৃশ্য। যা ডিউরমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বঙ্গভবনে যে চেয়ার এবং টেবিলে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন সে চেয়ার টেবিলও এ গ্যালারিতে রাখা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু করেন জিয়াউর রহমান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিষয় ভিত্তিক বাংলাদেশের কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে খাল খনন কর্মসূচি। দশ নম্বর গ্যালারিতে ডিউরমার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান নিজেই খাল কাটায় অংশ নেয়ার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

দেশ গড়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে স¤পর্ক উন্নয়ন এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মনোযোগী হন জিয়াউর রহমান। এর ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত হয় সার্ক। এগার নম্বর গ্যালারিতে সার্কের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে রয়েছে সার্কভুক্ত ৭টি দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রোট্রেটসহ একটি ডিউরমা।

বার নম্বর গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিয়াউর রহমানের বিদেশ সফরের বেশকিছু দুর্লভ ছবি। এর পাশাপাশি সেখানে রাখা হয়েছে তাঁর নির্মম হত্যাকান্ডের পর বিশ্ব প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত খবরাখবরের কাটিং। গ্যালারি তেরতে শোভা পাচ্ছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদেশ সফরকালে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের দেয়া উপহার সামগ্রী।

গ্যালারী চৌদ্দ ও পনেরতে বিভিন্ন উপহার সামগ্রীর পাশাপাশি বিদেশ সফর এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বিদেশী সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের দুর্লভ অনেক ছবি।

ষোল নম্বর গ্যালারিতে আসলেই দর্শকদের চোখ আটকে যাবে সেখানে রাখা একটি খাট তারপাশে রাখা ছোট্ট টেবিল এবং তার উপর একটি গ্লাসের দিকে। শাহাদাতের পূর্বমুহূর্তে এ কক্ষেই রাত্রি যাপন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খাটের পাশে মেঝেতে রাখা কার্পেট এবং কক্ষ থেকে বের হওয়ার পথে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ এবং বুলেটে ঝাঝরা হয়ে যাওয়ার দৃশ্য জ্বলজ্বল করছে এখনও। ওই কক্ষেই ঘাতকের তপ্ত বুলেটে ঝাঝরা হয়ে যায় জিয়াউর রহমানের শরীর। শাহাদাত গ্যালারি হিসেবে পরিচিত এ ষোল নম্বর গ্যালারি।

এরপর গ্যালারি নম্বর সতের। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের শাহাদাত বরণের পর জিয়াউর রহমানের লাশ গোপনে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার জিয়ানগরে দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় দাফন করা হয়। পরে সেখান থেকে লাশ তুলে নিয়ে ঢাকায় তাকে দাফন করা হয়। রাঙ্গুনিয়ার প্রথম মাজার এবং ঢাকার মাজারের চিত্র ডিউরমার মাধ্যমে এ গ্যালারিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

বিরল ইতিহাসের স্মারক স্মৃতির জাদুঘরটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি গত দেড় দশক ধরে। ফলে ভবনটির দেয়াল ফেটে এখন হা করে আছে। রং উঠে পরিবেশ স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। অবহেলা আর অনাদরে পুরো ভবনটি মলিন হয়ে গেছে। জিয়া স্মৃতি জাদুঘর লেখা স্মৃতি ফলকটিতে কি লেখা তা বোঝার উপায় নেই। খসে পড়েছে ভবনের আস্তর। দরজা-জানালায় ধুলোবালির আস্তরণ। পর্দার নিচে ঝুলছে মাকড়সার জাল।

একটু বৃষ্টি হলেই ছাদের টিন বেয়ে পানি পড়ে ভেসে যায় সব। ভেঙে গেছে গ্যালারির বোর্ডগুলোও। পর্যাপ্ত লাইট ও ফ্যান নেই। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংযুক্ত শোকেস, ডিওরামা, আলোকচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মারক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জাদুঘরের ভেতরের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মূল অডিটোরিয়াম ভবনটি বন্ধ হয়ে আছে। সেমিনার হল কক্ষের এসি, জেনারেটর ও আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম না থাকায় মাত্র দুটি মাইক্রোফোন দিয়ে কোনোরকমে চালু রাখা হচ্ছে। পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু আর নতুন সার্কিট হাউজের মাঝখানে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন এ ভবনটির দৈন্যদশা খুবই বেমানান দেখাচ্ছে।

এরপরও জাদুঘরটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। একজন পরিপূর্ণ জিয়াকে জানতে এবং বুঝতে এই যাদুঘরে আসছেন দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ। অনেকে আসেন দৃষ্টিনন্দন ভবনটি দেখতে। তবে ভবনের ভেতরে থাকা মানুষটির বর্ণাঢ্য জীবনগাথা তাদেরও নাড়া দেয়।

জাদুঘরের তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ দর্শানার্থী প্রবেশ করেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার। জাদুঘরে অসংখ্য সংকট থাকলেও গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে। তবে চলতি অর্থবছরের এখনো এক মাস বাকি থাকতে তা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, আগামী অর্থবছরে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

এই জাদুঘরের আরেক সমস্যা লোকবলের সংকট। প্রতিষ্ঠানটিতে অনুমোদিত পদ রয়েছে ৪৩টি। বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৩০ জন। তাদের মধ্যে দু‘জন আবার অস্থায়ী ভিত্তিতে। কিউরেটর, হিসাবরক্ষক, লাইব্রেরিয়ানসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে খালি। কর্মকর্তারা জানান, লোকবল সংকটে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একেকজনকে একের অধিক পদের কাজ করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, গত ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে জাদুঘরটি। প্রতিষ্ঠানটিকে পরিত্যক্ত করে রেখেছিল তারা। জাদুঘরে তেমন কোনো পরিচর্যা করা হতো না। আমাদের নেতাকর্মীরা চাইলেও যেতে পারত না। পটপরিবর্তনের পরও নেতাকর্মীদের যাওয়ার মতো তেমন পরিবেশ তৈরি হয়নি। এখনো কোনো সংস্কার করা হয়নি। আমরা ৩০ মে ঘিরে কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

ঈশান/বেবি/খম

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page