সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুবিচার, অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী। কিন্তু সেই ফারাজ করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অন্তহীন অভিযোগ দুদকের হাতে।
বাদ যায়নি তার ছোট ভাই ফারহান করিম চৌধুরীরও। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানও শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তাদের কাছে একাধিকবার সম্পদ বিবরণী চেয়ে চিঠি পাঠানো হলেও তারা কোনো জবাব দেননি।
৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে থাকা এই দুই ভাইয়ের রাউজানের গহিরার পৈতৃক বাড়ির দরজায় গত বুধবার (২৩ জুলাই) নোটিশ ঝুলিয়ে আসে দুদক কর্মকর্তারা। সঙ্গে ছিলেন রাউজান থানা-পুলিশের একটি টিম।
দুদকের দেওয়া পৃথক দুই নোটিশে বলা হয়েছে, ২১ কর্মদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে তাদের ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা ও আয়ের উৎসের হিসাব জমা দিতে হবে। ব্যর্থ হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদকের অনুসন্ধানে ফারাজ ও ফারহানের নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি সংস্থাটির। এ বিষয়ে দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে কাউকে না পাওয়ায় তা দরজায় সাঁটানো হয়েছে।
ফারাজ করিম চৌধুরী এক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কর্মকাণ্ডে সরব ছিলেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে। তার বাবা ফজলে করিম চৌধুরীও কারাগারে অন্তরীণ রয়েছে।
You cannot copy content of this page