শুক্রবার- ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

ভোগান্তি এড়াতে চট্টগ্রামে আগেভাগে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ

ভোগান্তি এড়াতে চট্টগ্রামে আগেভাগে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ

দুল আজহার আনন্দ শেষ। এবার জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফেরার পালা। সেই যাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষেরা।

ফলে চট্টগ্রাম মহানগরের বটতলী নতুন রেলস্টেশনে ও কদমতলি বাস স্টেশনে চাপ বেড়েছে কর্মজীবী মানুষের। বুধবার (১১ জুন) সকালে নগরীর বিভিন্ন স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বটতলী রেলস্টেশনে আসা যাত্রী মহসিন কাদের বলেন, বেসরকারি এমপ্লয়ী আমি। শুক্রবার পর্যন্ত অফিস ছুটি। তবে ওই সময় ট্রেনে প্রচন্ড ভিড় বাড়বে। বাড়বে ভোগান্তি। তাই পরিবার নিয়ে একটু আগেই ফিরলাম।

আরও পড়ুন :  পূর্ব রেলে সরঞ্জাম ক্রয়ে জুয়েলের জোচ্চুরি!

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুইদিন শহরের বিনোদনকেন্দ্রে বেড়াবো। তারপর জীবিকার টানে ডুবে যাবো সেই ব্যস্ত জীবনে। প্রায় একই কথা বলেছেন চট্টগ্রাম কদমতলি বাস স্টেশনে কুমিল্লা থেকে ফেরা জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, সরকারি ছুটি শেষ হবে শনিবার। শেষ দিনে ফিরতে পারতাম। কিন্তু ভাল লাগছিল না ঘরে। তাছাড়া ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আগেভাগেই ফিরেছি। পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে ঘুরে সময় কাটিয়ে দিবো।

আরও পড়ুন :  পূর্ব রেলে সরঞ্জাম ক্রয়ে জুয়েলের জোচ্চুরি!

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার জাফর আলম বলেন, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে চট্টগ্রামে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। ফলে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। একইভাবে বাসেও চাপ বাড়ার কথা জানিয়েছেন নগরীর কমদতলি বাস স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের ব্যবস্থাপকরা।

শুধু দুরের কর্মজীবী মানুষ নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও নগরে ফিরছেন বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষ। ফিরতি পথে গাড়ি ভাড়া বেশি আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন অনেক যাত্রী।

তবে গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের দিন থেকে গণপরিবহনে যাত্রীসংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম ছিল। রাস্তাগুলো বেশ ফাঁকা। তাই কম যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো লোকসান। ফলে ভাড়া বেশি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন :  পূর্ব রেলে সরঞ্জাম ক্রয়ে জুয়েলের জোচ্চুরি!

এদিকে কর্মজীবী মানুষ ফেরায় নগরেও যানজট-জনজট বাড়ছে। আগামি শনিবার থেকে খুলতে শুরু করবে নগরীর সব মার্কেট। তাতে ফিরে আসবে ঈদের আগের চট্টগ্রাম মহানগরীর সেই চিরচেনা চেহারা। ব্যস্ততা বাড়বে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশেরও। এমনটাই মনে করছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মো. হুমায়ুন কবির।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page