
চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যানবাহন প্রবেশে মাশুল চারগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রেইলার চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। ফলে কনটেইনারে পণ্য পরিবহন কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ট্রেইলার চলাচল বন্ধ থাকায় বন্দর থেকে পণ্য তুলতে পারছেন না তারা। মালামাল পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। দ্রুত সমাধান না হলে আমদানিকারক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, গত ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা পাস ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা কার্যকর করার পর থেকেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকেও বন্দরে প্রাইভেট কোনো ট্রেইলার প্রবেশ করছে না। ফলে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও বিভিন্ন অফডক বা ডিপোর নিজস্ব ট্রেইলারগুলো এখনও সীমিত পরিসরে চলাচল করছে।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন জানান, ট্রেইলার চলাচল বন্ধ হওয়া কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মবিরতি বা ধর্মঘট নয়। হঠাৎ করে ফি বাড়ানোয় মালিকেরা আপাতত গাড়ি চালাচ্ছেন না। গত ১৪ অক্টোবর রাত থেকে তাদের সংগঠনের ট্রেইলার চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত মাশুল ফি শ্রমিক দেবেন, নাকি মালিক দেবেন, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তারা বিষয়টি নিয়ে বন্দরের পরিচালকের (নিরাপত্তা) সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্দর চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে ফিরলে পুণরায় আলোচনার আশা করছেন।
বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, প্রাইম মুভার মালিকদের ট্রেইলার মূলত আন্তঃজেলা রুটে চলে। তাদের গাড়ি না চালানোর কারণে কিছু এলাকায় ডিপোর ট্রেইলার চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। বন্দরের এই অচলাবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বলেন, প্রাইভেট ট্রেইলার চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার পরিবহন স্থিমিত হয়ে গেছে। এতে বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার জট বাড়ছে। সমস্যা সমাধান উত্তোরণ দ্রুত প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।