শুক্রবার- ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মেয়াদোত্তীর্ণ দেড়শতাধিক অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করেছে চট্টগ্রাম বিআরটিএ

মেয়াদোত্তীর্ণ দেড় শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশার রিপ্লেসমেন্ট শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিআরটিএ। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৬ মে) সকাল থেকে হালিশহরস্থ বিআরটিএ, চট্টমেট্রো-১ সার্কেলে এসব অটোরিকশা স্ক্র্যাপকরণ করা হয়।

বিআরটিএ ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শফিকুজামান ভুঞা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ও চট্টমেট্রো-১ সার্কেলের উপ-পরিচালক তৌহিদুল হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ২০০১, ২০০২, ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তৈরিকৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ক্র্যাপকরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ফলে সিএনজি মালিকরা এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি স্ক্র্যাপকরণের জন্য বিআরটিএ কার্যালয়ে তালিকাভুক্ত করেন। পরে শুক্রবার সকাল থেকে স্ক্র্যাপকরণ শুরু হয়।

আরও পড়ুন :  চামড়া যাদের শক্ত সেসব মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন : বর্ষা

সূত্র জানায়, ২০০১ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার করে ২৬ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। এই সব সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের সময় মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর। পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে ৩ দফায় অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়। যে কারণে পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে ঢাকায় নিবন্ধিত ১৩ হাজার অটোরিকশা ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :  আমানত থেকে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক!

চট্টগ্রাম বিভাগের বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান ভুঞা বলেন, নিয়ম মেনেই চট্টগ্রামের অটোরিকশাগুলো পর্যায়ক্রমে স্ক্র্যাপ করা হয়েছে। কেউ যাতে ভোগান্তির মধ্যে না পড়েন সেজন্য নিয়ম মেনে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতেই স্ক্র্যাপ করা হয়েছে। এতে কোনো অনিয়ম বা ভোগান্তির সুযোগ নেই। এখন নতুন রিপ্লেসমেন্ট নতুন নম্বর দেয়া হবে।

এদিকে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই অটোরিকশা স্ক্র্যাপকরণ করতে পারায় খুশি মালিক ও চালক দু’পক্ষই। আনিছুল ইসলাম নামে এক অটোরিকশার মালিক বলেন, চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয় থেকে দুটি সিএনজি স্ক্র্যাপ করেছি। এ কাজে প্রথমে দালালের খপ্পরে পড়েছিলাম। তারা অটোরিকশা প্রতি ৮০ হাজার টাকা চেয়েছিল। পরে কাউকে টাকা দিতে হয়নি। নিয়ম-নির্দেশনা মেনেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করেছে চট্টগ্রাম বিআরটিএ।

আরও পড়ুন :  ধরপাকড় শুরু, পুরুষশূন্য জোবরা গ্রাম

তিনি বলেন, বিআরটিএ এখন স্ক্র্যাপকৃত এসব অটোরিকশা মালিকদের অনুকূলে নতুন কেনা গাড়ির নিবন্ধন দিবে। গত ৪-৫ বছর ধরে এসব সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে মালিকরা চিন্তিত ছিলেন। এখন সিএনজিগুলো স্ক্র্যাপকরণের কারণে রিপ্লেমেন্ট নম্বর দিয়ে নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিতে পারব।

আরও পড়ুন