
যমুনা অয়েল কোম্পানির তেল চোর হিসেবে খ্যাত কোটিপতি সিবিএ নেতা মুহাম্মদ এয়াকুবকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার ভোরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে হওয়া জুলাই আন্দোলনের একটি মামলায় এয়াকুবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন (শনিবার) তাকে চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পরদিন ভোরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। সরকারি তেল কোম্পানি যমুনা অয়েলের তেল চুরি নিয়ে ব্যাপক আলোচিত কর্মচারী মুহাম্মদ এয়াকুব। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়।
সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে টাইপিস্ট হিসেবে চাকরি পান মোহাম্মদ এয়াকুব। তাঁর বাবা মো. আবুল কাশেম ছিলেন কোম্পানির অফিস সহায়ক। বাবার মৃত্যুর পর পোষ্য কোটায় এ কোম্পানিতে চাকরি পান তিনি। এরপর ২০০৯ সালে কোম্পানির লেবার ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। এক বছর পর হন সাধারণ সম্পাদক। সেই থেকে তিনি এই পদে রয়েছেন। গত দেড় দশক এটি ছিল শ্রমিক লীগের সংগঠন। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি এটিকে শ্রমিক দলের সংগঠন বানিয়েছেন।
যমুনার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, তিন বছর চুক্তিতে কাজ করার পর ১৯৯৭ সালে চাকরি স্থায়ী হওয়ার সময় এয়াকুবের মূল বেতন ছিল ৯৩৫ টাকা। এখন এটি বেড়ে হয়েছে ৩৭ হাজার ৫০৩ টাকা। সব মিলিয়ে বেতন এখন ৮৫ হাজার ১০০ টাকা। তবে এয়াকুব চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা খুলশীতে চার হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটে থাকেন। নামে-বেনামে তাঁর বিনিয়োগ আছে বিভিন্ন ব্যবসায়। চড়েন নিজের মাইক্রোবাসে।
যমুনা অয়েল সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ২১ লাখ টাকায় ৬ শতাংশ জমি কিনেছেন এয়াকুব। ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকায় নুরুন নাহার বেগমের সঙ্গে যৌথভাবে ৫০ লাখ টাকায় ৪ শতাংশ জমি কেনেন তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম।
দুদক সূত্র বলছে, এয়াকুবের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে। বোয়ালখালী উপজেলায় ১৪ শতাংশ, সাড়ে ১১ শতাংশ ও ১২ শতাংশের তিনটি জমি পাওয়া গেছে। আরও কিছু জমি আছে যৌথভাবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকায় খুলশীর দামপাড়ায় ৪ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট আছে তাঁর। দলিলে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা দাম পাওয়া গেছে ফ্ল্যাটের।










































