চট্টগ্রামের গরিবের মার্কেট খ্যাত সবচেয়ে পুরণো কাপড়ের ব্যবসা কেন্দ্র রেয়াজউদ্দিন বাজারে আগুনে পুড়ে গেছে রাজস্থান নামে একটি কোম্পানীর পাঞ্জাবির গোডাউন। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার ওবায়দুল হক শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেয়াজউদ্দিন বাজারের হোটেল সাফিনার পাশের ভবনের পঞ্চম তলায় একটি পাঞ্জাবির গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নন্দনকানন ফায়ার স্টেশনের ২ ইউনিট, চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ও আগ্রাবাদের ২টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কাপড়ের গোডাউন হওয়ায় আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি।
তিনি আরও বলেন, আগুন না নেভায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করাও সম্ভব হয়নি। আগুনের সূত্রপাত স¤পর্কেও কিছু জানা যায়নি। এ নিয়ে ফায়ার ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে বলে জানান ফায়ার ফাইটার ওবায়দুল হক।
তবে রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব রশিদ আহমদ জানান, আগুনে গোডাউনের কয়েক কোটি টাকার পাঞ্জাবি মজুদ ছিল। সামনের রমজান মাসকে সামনে রেখে এসব পাঞ্জাবি মজুদ করেছিল রাজস্থান। এখন সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক শিবলী বলেন, ওই ভবনের বেশ কয়েকটি তলায় রাজস্থান কোম্পানীর পাঞ্জাবির গোডাউন ছিল। গোডাউনের কয়টি ফ্লোর পুড়ে গেছে তা এখনো নিশ্চিত নই। তবে রাত ১১টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো ঘুষে ঘুষে জ্বলছে। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন কিভাবে লেগেছে তাও এখনো জানা যায়নি।
ফারুক শিবলী আরও বলেন, প্রতিবছর রমজান আসলে চট্টগ্রামের কাপড়ের ব্যবসার মূল কেন্দ্র রেয়াজউদ্দিন বাজার, জহুর হকার্স মার্কেট ও টেরিবাজারে আগুন লাগার প্রবণতা বেড়ে যায়। প্রায় প্রতিবছরই ঘটছে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা। গত ২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হকার্স মার্কেটের হাজী নূর সোবহান স্টোরের গুদামেও আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। এ সময় ধোঁয়া আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ঈদের জন্য আনা থ্রি পিস, পর্দা ও বেডশিটসহ নানান কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা। আর এসব আগুনের সুত্র সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া যায় না। এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস দোষ দেয় সার্কিট ব্রেকারের।
You cannot copy content of this page