
চলতি মাসের ৮ তারিখ সরকার চিনির দর নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে সে দরে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। বরং রোজার পরেও অস্থির চিনির বাজার। চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে ১৩০ টাকা ছাড়িয়েছে চিনির দাম। ক্রেতারা দুষছেন বাজার তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
বৃহস্পতিবার নগরীর খাতুনগঞ্জ, রেয়াজউদ্দিন ও বকসির হাটের খুচরা বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ঈদকে কেন্দ্র করে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
বকসির হাটের ব্যবসায়ী মো. রমজান আলী বলেন, আমরা খাতুনগঞ্জ থেকে চিনি কিনেছি ১১৫ টাকার উপরে। যার ফলে খরচাদি হিসেব করে আমাদেরকে ১২৮ টাকার উপরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
চাক্তাই এলাকায় খুচরা মুদির দোকানে চিনি কিনতে আসা মো. সিরাজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, রমজানের শুরুতে নিত্যপণ্যের বাজারে বেশ কিছু অভিযান চললেও ২০ রোজার পর তেমন দেখিনি। প্রশাসনের অনুপস্থিতির সুযোগে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের বাজারকে অস্থির করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে রমজানের মাঝামাঝি থেকে। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে ব্যবসায়ীরা ১২৮ থেকে ১৩০ টাকার উপরে চিনি বিক্রি করছে।
অস্থির চিনির বাজার তদারকির বিষয়ে জানতে ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহর সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।
চিনির বাজার তদারকির বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহ পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘সরকার চিনির বাজার দর নির্ধারণ করে দেওয়ার পর আমরা কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। এরপর বিভিন্ন নির্দেশনার কারণে আমাদেরকে ঈদ মার্কেট তদারকি করতে হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে চিনির বাজারের অস্থিরতা নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ আমাদের হাতে এসছে। আমরা শ্রীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করবো।