আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ সাবেক চার প্রভাবশালী মন্ত্রীকে একসঙ্গে দেখা গেছে যুক্তরাজ্যে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দেশটির লন্ডনে একটি হাসপাতালে তাদের দেখা যায়। এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এর আগে লন্ডনে ঈদের জামাত আদায়ের একটি ছবিও প্রকাশ্যে আসে। এর আগে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গেলেও তা প্রকাশ্যে ছিল না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায় সাবেক চার মন্ত্রীকে।
অন্য মন্ত্রীরা হলেন— আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই নেতাকে দেখতেও মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) হাসপাতালে দেখতে যান তারা।
এছাড়া ঈদের দিন স্থানীয় সময় রোববার লন্ডনের গ্যাংসহিল এলাকার আল-কালাম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। লন্ডনে ঈদের নামাজ শেষে পরিচিতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এর কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ছবির একটিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা যায় হাছান মাহমুদকে। আরেকটি ছবিতে হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, আনাস পাশার ছেলে ও আইটিভির সাংবাদিক মাহাথির পাশাকে দেখা গেছে। ছবিতে আরও দুই কিশোরকে দেখা গেছে।
ওই দুই কিশোরের পরিচয় সম্পর্কে সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা বলেছেন, ‘ছবিতে হাছান মাহমুদের ডান পাশের দুজনের একজন খুব সম্ভবত ওনার ছেলে এবং অপরজন ভাতিজা। তারা লন্ডনে পড়ালেখা করেন। তাদের সঙ্গে ঈদ করতে লন্ডনে এসেছেন হাছান মাহমুদ। হাছান মাহমুদ থাকেন বেলজিয়ামে।
সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা বলেন, ‘যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক সম্পর্কে আমার চাচা এবং লন্ডনে আমরা একই এলাকায় বাস করি। নামাজ শেষে তিনি হাছান মাহমুদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি হাছান মাহমুদকে। তিনি দেশে নেই, বেলজিয়াম পালিয়েছেন—এমন গুঞ্জন ছিল। এবার প্রকাশ্যে আসায় সেই গুঞ্জন সত্যে পরিণত হল।
You cannot copy content of this page