ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেও। এতে অচল হয়ে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চমেক হাসপাতালে সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। এতে বন্ধ হয়ে গেছে জরুরী বিভাগের সেবা কার্যক্রমও। ফলে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ইমার্জেন্সি ও বহির্বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দুপুর থেকেই চিকিৎসকের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে শত শত রোগী ও স্বজনদের।
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সনজীব নাথ ও আব্দুল মোনাফ নামক রোগীর অভিভাবকেরা জানান, দুপুরে মেডিকেলের ৬ তলায় ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ২ নম্বর ইউনিট থেকেও সকল রোগীদের ফাইলপত্র ডিউটিরত চিকিৎসকরা নিয়ে গেছেন। বলেছেন চিকিৎসা দেওয়া হবে না। সব বন্ধ আপনারা ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে যান। কেউ কেউ ভয়ে বের হলেও অনেকেই রয়ে গেছেন।
এমনকি সকালে বহির্বিভাগে কিছু সময়ের জন্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও দুপুরের পর থেকেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের প্রধান ফটকে কর্মসূচি চলছে বলে জানান চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক। তিনি বলেন, নার্সরা ওয়ার্ডে রোগী সামাল দিচ্ছেন।
এ ঘটনায় রোববার বিকেলে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. তছলিম উদ্দিন খান। অন্তত দুই ঘন্টা ধরে চলে এ বৈঠক। বৈঠকে চমেক হাসপাতাল পরিচালক শাটডাউন কর্মসূচি থেকে সরে আসতে চিকিৎসকদের বোঝানোর চেষ্টায় বেশ আন্তরিক ছিলেন। এ সময় চিকিৎসকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে ফেরার কথা দিলেও কার্যত ফিরেননি।
এমন তথ্য জানান চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রাজিব কুমার পালিত। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তা চান। পরিচালক মহোদয় আশ্বস্ত করেছিলেন, নিরাপত্তায় কোন বিঘ্ন ঘটবে না। তাতেও কাজ হয়নি। কর্মবিরতিতে গেছেন চিকিৎসকরা। এখন এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিব, তা জানা নেই।
You cannot copy content of this page