রবিবার- ২০ এপ্রিল, ২০২৫

স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে..

স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে..

রকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়। ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা https://gsa.teletalk.com.bd/ লিংক থেকে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে জানতে পারবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালক (মাধ্যমিক) ও ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব আজিজ উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা আহ্বান করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

মাউশি সূত্র জানায়, গত ১২ থেকে ৩০ নভেম্বর বিকেল পাচঁটা পর্যন্ত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। এতে ৬৮০ টি সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১,০৮,৭১৬ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬,৩৫,০৭২ টি আবেদন করা হয়।

অন্যদিকে ৩১৯৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০,০৭,৬৭৩ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৩,৪৮,৪৬৭ টি আবেদন আবেদন করা হয়। সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আসনের তুলনায় প্রায় ছয় গুণ বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যালয়ে আসনের চেয়ে প্রায় সাত লাখ আবেদন কম পড়েছে।

এই ভর্তি কার্যক্রম তিন ধাপে পরিচালনা করা হবে। প্রথম ধাপের লটারি ফলাফল প্রকাশ হবার পর শিক্ষার্থীদের ছয় কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এরপর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার তিন কর্মদিবস পর তৃতীয় ও সর্বশেষ তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে Software এর মাধ্যমে Random পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে লটারি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব জনাব নুরুল মাবুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

ঈশান/খম/বেবি

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page