শনিবার- ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দশ মাসে ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি

ইউরোপ আমেরিকার বাজার থেকে কমে গেছে পোশাক রফতানির আদেশ

চলতি অর্থবছরের দশ মাসে দেশ থেকে তৈরি পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তৈরি পোশাক রফতানিকারকরা বলছেন, ইউরোপ আমেরিকার বাজার থেকে পোশাকের রফতানি আদেশ অনেক কমে গেছে। এ কারণে পোশাক রফতানিও কম হচ্ছে। পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি এখনও নেতিবাচক অবস্থায় না এলেও রফতানি আদেশ না বাড়লে এই প্রবৃদ্ধিও ধরে রাখা যাবে না

এ বিষয়ে প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, মার্চ-এপ্রিলে এসে যে রফতানি আয় কমে যাবে সেটি আমি আরও তিন-চার মাস আগে থেকে বলে আসছি। আয় কমার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে-বিশ্ব বাজার থেকে নতুন কার্যাদেশ এখন ২৫-৩০ শতাংশ কমে গেছে। কোনো কোনো বাজার থেকে ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

আরও পড়ুন :  চবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে চিহ্নিত ৯ অস্ত্রধারী

এভাবে যদি রফতানি আদেশ কমতে থাকে তা হলে এখন যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি রয়েছে সেটিও ধরে রাখা যাবে না। এই অবস্থায় আমরা নতুন বাজার বা বিকল্প বাজারে পোশাক রফতানির দিকে জোর দিচ্ছি। সেই সঙ্গে শিল্পে যাতে উৎপাদন ব্যাহত না হয় সে জন্য গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দিতে হবে।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিশদ বিবরণে দেখা গেছে, ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ বছর বছর বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস রফতানি যথাক্রমে ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ও ১৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সামগ্রিকভাবে এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক তৈরি পোশাক রফতানি আয়ের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির লক্ষণ।

আরও পড়ুন :  চবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে চিহ্নিত ৯ অস্ত্রধারী

সামগ্রিক ইতিবাচক প্রবণতা নির্বিশেষে একক মাসের পরিসংখ্যানের আরও বিশদ পরিদর্শনে পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধির সাম্প্রতিক হ্রাস দেখা যায়। ২০২২ সালের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে দেশের তৈরি পোশাক রফতানি ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা ৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই পতনের সংমিশ্রণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামগ্রিক পতনের প্রবণতায় অবদান রেখেছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের উল্লিখিত সময়ের জন্য অন্যথায় ইতিবাচক গতিপথের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন :  চবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে চিহ্নিত ৯ অস্ত্রধারী

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার এবং আমাদের ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। চলতি অর্থবছরে আর দুই মাস বাকি আছে তাই এই দুই মাসে আমাদের প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, এপ্রিলে আমাদের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ৪ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার। এ মাসে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ কম রফতানি করেছি। আর গত বছরের এই মাসের তুলনায় আমাদের রফতানি কমেছে ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এটি এ বছরের সর্বনিম্ন এক মাসে রফতানি।

আরও পড়ুন