শনিবার- ১২ জুলাই, ২০২৫

চট্টগ্রামে ফ্ল্যাটে গৃহবধুর ১১ টুকরো লাশ, স্বামী পলাতক

চট্টগ্রামে ফ্ল্যাটে গৃহবধুর ১১ টুকরো লাশ, স্বামী পলাতক

ট্টগ্রাম মহানগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদ এলাকার পাহাড়িকা হাউজিংয়ের এফজেড টাওয়ারের ১০ তলা ভবনের নবম তলার ফ্ল্যাট বাসায় ১১ টুকরো করা এক গৃহবধুর লাশ মিলছে। বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গৃহবধুর লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নারীর নাম ফাতেমা বেগম পলি (৩২)। তিনি ওই ফ্ল্যাটে স্বামী সুমনের (৩৮) সঙ্গে থাকতেন। সুমন পেশায় গাড়িচালক। ফাতেমার বাড়ি কুমিল্লা জেলা সদর দক্ষিণে। তার বাবার নাম কামাল উদ্দিন। সিফাত নামে তাদের আট বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। তবে ঘটনার সময় সিফাত বাসায় ছিল না। ঘটনার পর স্বামী সুমন পালিয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সুমনই স্ত্রীকে হত্যা করেছে। পরে লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের মেঝের বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রেখে সে পালিয়েছে। লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারের সময় ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।

পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীরা রাতের দিকে ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক নড়াচড়ার শব্দ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। তখন টুকরো অবস্থায় ফাতেমা বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। টুকরোগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গৃহবধু ফাতেমাকে হত্যায় ছুরি ও চাপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। হাড় থেকে মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। ১১টি টুকরা ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে খুনি সুমন। স্বামী সুমনকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ১০ বছর আগে সুমনের সঙ্গে ফাতেমার বিয়ে হয়। তাঁদের আট বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। সুমন পেশায় পিকআপচালক। ঘটনার অনেক আগে থেকে তাদের দু‘জনের মধ্যে কলহের ঘটনা ঘটে আসছে। তার জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় রাতে তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন বাসায়। একমাত্র সন্তান ছিলেন আত্নীয়ের বাসায়। এ থেকে বুঝা যায় সুমন পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।

ঈশান/মখ/মউ

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page