
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ সময় লুট হওয়া অনেক অস্ত্র এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা যাচ্ছে না। যা দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাশকতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে আয়োজিত সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানা থেকে অনেক অস্ত্র লুট হয়েছে। সেগুলো এখনো সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করা হয়নি। দেশে এ শক্তি নির্বাচনকালে নাশকতা করতে পারে। সেদিকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অধিকতর সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, অভ্যুথানে বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনা থেকে ৫ হাজার ৭৫৩ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ লাখ ৭ হাজার ২৬২টি গুলি লুট হয়েছে। পাশাপাশি ৩২ হাজার ৫টি টিয়ার গ্যাস শেল, ১ হাজার ৪৫৫ টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড, ৪ হাজার ৬৯২ সাউন্ড গ্রেনেড, ২৯০ স্মোক গ্রেনেড, ৫৫ স্টান গ্রেনেড, ৮৯৩ মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড ও ১৭৭টি টিয়ার গ্যাস স্প্রে লুট হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৯০টি উদ্ধার হলেও ১ হাজার ৩৬৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি। একই সঙ্গে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭২০টি গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি।