শুক্রবার- ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিমান হামলা

হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে যৌথভাবে বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) মার্কিন কর্মকর্তারা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) এই তথ্য জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এপিকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে লজিস্টিক্যাল হাব, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অস্ত্র সংরক্ষণের স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। এসব ঘটনার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় হুথিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালাচ্ছে ব্রিটিশ ও মার্কিন সেনারা।

আরও পড়ুন :  জ্বালানি সরবরাহের পাইপলাইন সচল নিয়ে গড়িমসি

হুথির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজধানী সানায় শত্রুদের হামলা চলছে। সানার এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিনি ৩টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ২০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথিরা। এরপরই এ হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। তবে হুথিদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়— তাদের এ হামলার পাল্টা হামলার জবাব দেবে তারা।

আরও পড়ুন :  জ্বালানি সরবরাহের পাইপলাইন সচল নিয়ে গড়িমসি

এদিকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলপথগুলোর মধ্যে একটিতে নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ব্যবহার করে। তাদের বিরুদ্ধে আমার আদেশে হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, মার্কিন বাহিনী যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডের সমর্থনে হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন :  জ্বালানি সরবরাহের পাইপলাইন সচল নিয়ে গড়িমসি

অন্যদিকে একই সময়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যৌথ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও বাহরাইন আমাদের সমর্থন দিয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা ও বিবিসি

ঈশান/সুম/মউ

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page