মোবাইল ও জামা-কাপড় কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবান সদরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছোট বারদোনা পেরাইতা বর পাড়ার শামসুল ইসলামের ছেলে মো. হারুন (৪৫) কে আসামি করে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে সাতকানিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হালদার কূল এলাকার এক কৃষকের মেয়ে সদর ইউনিয়নের বারদোনা মাওলানা আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে শাহ মজিদিয়া বাজারে নেজাম চেয়ারম্যান মার্কেটের মেট্রোস ব্যবসায়ী অভিযুক্ত হারুন ছাত্রীটিকে প্রায় সময় উত্যক্ত করত।
এক সময় তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে কৌশলে ছাত্রীটির মায়ের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে হারুন। প্রায় সময় ফোন করে ছাত্রীকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হত।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৫ মে) সকালে অভিযুক্ত হারুন মোবাইল ফোন ও জামা-কাপড় কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘর থেকে মোবাইল ফোনে ছাত্রীটিকে শাহ মজিদিয়া বাজারে আসতে বলে। ছাত্রীটি বাজারে আসলে অভিযুক্ত হারুন তাকে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা করে প্রথমে উপজেলার কেরানিহাট বাজার পরে পার্বত্য জেলা বান্দরবান সদরের একটি আবাসিক হোটেল নিয়ে ছাত্রীটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। একইদিন বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ঘরে ফিরে ছাত্রটি তার সাথে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা তার মা’কে খুলে বলেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী ও ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হারুনকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছি। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমি ধর্ষককে গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।