হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণী চৌধুরী (আনারস) প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান (ঘোঁড়া) পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫ ভোট। বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ২ হাজার ৯৯২ ভোট।
চেয়ারম্যান পদের অন্য প্রার্থী উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএস রাশেদুল আলম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮৮ ভোট।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী আশরাফ উদ্দিন জীবন (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৬৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক বাল্ভ প্রতীকের প্রার্থী এমএ খালেদ চৌধুরী পেয়েছেন ২৫ হাজার ১২৩ ভোট।
এছাড়া অশোক নাথ (তালা) পেয়েছেন ২১ হাজার ৮২৯ ভোট, নুরুল আবছার (চশমা) পেয়েছেন ০৮ হাজার ৪৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিবি ফাতেমা শিল্পী (প্রজাপতি)।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীকের প্রার্থী শারমিন আক্তার পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৩৫ ভোট। এছাড়া কলস প্রতীকে ১২ হাজার ৮৭৫ ভোট পেয়েছেন মুক্তার বেগম মুক্তা। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদা বেগম পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৩ ভোট।
মঙ্গলবার (২১ মে) ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে দশটায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পরান্টু চাকমা এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সহকারী রিটার্নিং ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাদ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ১৪ টি ইউনিয়নে ১৪ জন ও ১ টি পৌরসভায় ১ জন এবং অতিরিক্ত দুইজন সহ মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ১ প্লাটুন র্যাব ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার ভিডিপির সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করেন।