বঙ্গোপসাগরেসৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড় রিমেল এ পরিণত হওয়ার দিকে এগুচ্ছে। ফলে ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। এজন্য ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে বন্দর কর্মীদের।
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজাভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড় রিমেল মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। যদি ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে আসে তাহলে সম্ভাব্য মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে বন্দর।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রিমেল মোকাবিলায় বন্দর থেকে কর্মীদের প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি ও ধরণ পর্যবেক্ষণ করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, ধীরে ধীরে নিম্নচাপটি রিমেল এ রূপ নিচ্ছে। এটি আগামী ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর জন্য সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনা করে প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রামের সব সরকারি বেসরকারি বিভাগ।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, নিম্নচাপটি শুক্রবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রিমেল এ আকার নিতে পারে। এরপর ২৫ মে সন্ধ্যার পর সেটি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দিয়ে ভূখন্ডে প্রবেশ করতে পারে। কোথায় কীভাবে কত গতিতে আঘাত হানতে পারে সেটি এখনও ¯পষ্ট নয়। তবে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলে চলে আসার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।