বাংলাদেশ নিয়ে চক্রান্তের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম। চট্টগ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজাহার এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনার (সহকারী) অফিস অভিমুখে আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় লংমার্চ হবে। আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। পরে আমাদের প্রতিনিধিরা তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি দেবেন।
হারুন ইজাহার বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটি থেকে বিদায় করার পর এদেশের বেশিরভাগ হিন্দু সংগঠন ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অনেকেই হিন্দুদের মন্দির পাহারা থেকে শুরু করে সুরক্ষার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। অতি উদারতা দেখাতে পূজামণ্ডপেও গিয়েছিল অনেকে, যেটা আমরা সমর্থন করি না। এত উদারতা দেখানোর পরও তারা আমাদের ভাইকে জবাই করে হত্যা করল।
হিন্দু সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশে হেফাজত নেতা বলেন, আপনাদের বিভিন্ন সংগঠনে যেসব সন্ত্রাসী ঘাপটি মেরে রয়েছে তাদেরকে আপনারাই চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে। বাংলাদেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার মাথা চিহ্নিত করতে হবে আপনাদের। ইতোমধ্যে হিন্দুস্তানের সঙ্গে ইসরায়েল যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে ইসরাইল ও ভারত যৌথ চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আমাদের লড়াই সুদূরপ্রসারী। বাংলাদেশের কোনও হিন্দুর গায়ে আমাদের টোকাও পড়বে না।
মুফতি হারুন বলেন, ‘হিন্দুস্তান আমাদের জাতীয় নেতাদের তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করিয়েছে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারকে আমাদের দেশে চাপিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশে এমন আগ্রাসন নেই- সাংস্কৃতিক, সামরিক, রাজনৈতিক তারা চালায়নি। তাদের সামনে দুটি পথ আছে। তারা তাদের অতীতের অবস্থান পরিবর্তন করে আমাদের সঙ্গে ডায়ালগে বসবে এবং আগামী দিনের সহাবস্থান নিশ্চিত করবে। হিন্দুস্তান যদি তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে, বিভিন্ন সংগঠন ও কুকুরকে লেলিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি করতে চায়, তাহলে আমরাও হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রাখব।