লয়েডস লিস্টের তালিকায় কনটেইনার পরিবহনে তিন ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০২১ সালের হিসেবে ৬৪তম অবস্থানে ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। এখন সে অবস্থান থেকে পিছিয়ে গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের স্থান ৬৭ তম।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে তালিকা প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্ট। ২০২২ সালে বিশ্বের বন্দরগুলোর কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে সেরা ১০০ বন্দরের তালিকা প্রকাশ করে সংস্থাটি।
লয়েডস লিস্টের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩২ লাখ ১৪ হাজার একক।
তালিকায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের আগে অবস্থান করা ৬৬ নম্বর পর্যন্ত ২০টির দখলে চায়নার বিভিন্ন বন্দর। তালিকার শীর্ষে রয়েছে চায়নার সাংহাই বন্দর। গত বছর এ বন্দরে ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার একক পণ্য পরিবহন হয়েছিল।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে চায়নার নিংবো জোওসাংন বন্দর। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে আছে চায়নার সেনজেন, কিংদাও ও জুয়াংজও বন্দর। সপ্তমে সাউথ কোরিয়ার বুসান বন্দরের পর অষ্টমে আবারো চায়না জায়গা দখল করে নেয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশবব্যাপী ডলার সংকটের প্রভাবে এমনটা হয়েছে। এটাতো ২০২২ সালের তালিকা। আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের তালিকায় আমরা আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারব।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৭ শতাংশ পণ্য কনটেইনারে আনা-নেওয়া হয়। বাকি ৭৩ শতাংশ আনা-নেওয়া হয় কনটেইনারবিহীন সাধারণ জাহাজে। সাধারণ জাহাজের (বাল্ক, ব্রেক বাল্ক ও ট্যাংকার) খোলে আমদানি হয় মূলত সিমেন্ট, ইস্পাত ও সিরামিক কারখানার কাঁচামাল এবং পাথর, কয়লা, ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল। আর কনটেইনারে বেশির ভাগ আমদানি হয় শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য ও ভোগ্যপণ্য। আবার সমুদ্রপথে রপ্তানির পুরোটাই যায় কনটেইনারে। কনটেইনারে পণ্য পরিবহন বাড়লে সামনের বছর তালিকায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।