বুধবার- ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪

আগে আমার স্বামীকে মেরে ফেল তারপর তোমার কাছে চলে আসব

Dainik Ishan
print news

৭-৮ মাস আগে সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয় কিন্তু এসএসসিতে ফেল করায় পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বামী আলমগীর তাকে স্মার্টফোন কিনে দিলে সেটি দিয়ে পুরোনো প্রেমিক সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। একসময় সাকিব রোমানাকে তার কাছে চলে যেতে বললে রোমানা বলে কীভাবে যাব? আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে। তখনি তাদের মধ্যে আলমগীরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সাহস থাকলে আগে আমার স্বামীকে মেরে ফেল, তারপর আমি তোমার কাছে চলে আসব। ১৯ বছর বয়সি গৃহবধূ রোমানা আক্তার কথাগুলো বলছিল তার সাবেক প্রেমিক সাকিবকে। এরপর রোমানার স্বামী আলমগীরকে হত্যার নেশায় মত্ত হয়ে ওঠে সাকিব। তখন থেকে আলমগীরকে অনুসরণ করতে শুরু করে সাকিব।

আরও পড়ুন :  সেনাবাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের

গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের হায়দর আলী জামে মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় আলমগীরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সাকিব। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুরো উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

আলমগীরের পরিবারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, তার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। রাজনীতির সঙ্গেও তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুরুতে এলাকায় ছিনকারীরা তাকে মেরেছে এমন কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও আলমগীরের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা, মোবাইল অক্ষত থাকার খবরে তা দূর হয়ে যায়।

আরও পড়ুন :  শান্তিচুক্তির ২৭ বছরেও পাহাড়ে অশান্তি, চুক্তির মুলে নোবেল পুরুস্কারের লোভ

পরে পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করলে আলমগীরের স্ত্রীকে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ২৭ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় রোমানা পুলিশের কাছে স্বামী হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং আদালতে জবানবন্দি দেয়।

রোমানা জানায়, ৭-৮ মাস আগে সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয় কিন্তু এসএসসিতে ফেল করায় পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বামী আলমগীর তাকে স্মার্টফোন কিনে দিলে সেটি দিয়ে পুরোনো প্রেমিক সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। একসময় সাকিব রোমানাকে তার কাছে চলে যেতে বললে রোমানা বলে কীভাবে যাব? আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে। তখনি তাদের মধ্যে আলমগীরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন :  বৈদেশিক মুদ্রাসহ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাত্রী আটক

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, আলমগীরকে হত্যার পর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তার স্ত্রী রোমানা আক্তার। আর ঘটনার কিছু আলামতে আমাদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে তাকে আমরা আটক করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

ঈশান/সুম/সুপ

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page