নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু করতে আরও ৪-৫ বছর সময় লাগবে। একই সাথে ইঞ্জিন ও কোচ সঙ্কটের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না বলে জানান রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেস্ট হাউসে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে তিনি নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে রেলওয়ের দু‘দিন ব্যাপী ৪৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতুর সমীক্ষা শেষ হয়েছে। কোরিয়ান কোম্পানী এই সেতুর কাজ করবে। তবে এই সেতুর কাজ শুরু করতে আরও ৪-৫ বছর সময় লাগবে।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাকে এই মুহুর্তে আপনারা কোন প্রজেক্টের প্রশ্ন না করলেই ভাল। কারণ আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি। কোন প্রকল্প কবে চালু হবে বা কি পর্যায়ে আছে এসব ব্যাপারে কথা বলতে হলে আমাকে অন্যদের সাহায্য নিতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী রেলকে আবার আলোর মুখ দেখিয়েছেন। গোল্ডোন হ্যান্ডশেক দিয়ে অনেক অভিজ্ঞ লোক চলে গেছে। রেল লাইন তুলে রেল বন্ধেরও চেষ্টা করা হয়েছে। একপর্যায়ে আমাদের ফরিদপুরের রেল লাইন তোলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। রাজবাড়ীতে থাকা লোকোশেড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই সময়ে। ওই সময়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকে যাওয়া স্কিল্ড লোকগুলোকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় প্রত্যেক জেলাতে রেললাইন বসানোর পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য রেলের মাধ্যমে পরিবহনের ব্যবস্থা করাও আমাদের লক্ষ্য। রেল পরিচালনার জন্য নতুন লোক নিয়োগ করতে হবে, তাদেরকে ট্রেন্ড করে তুলতে হবে। লেবার দিয়ে ইঞ্জিন চালানো যাবে না। রেল পরিচালনায় দক্ষ লোকের প্রয়োজন। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যহত আছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু করা প্রসঙ্গে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহদাত আলী জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চালুর জন্য আমরা চারটি সময় ঠিক করেছি। ইঞ্জিন সঙ্কট যদি সমাধান করা যায় তাহলে আমরা ট্রেন চালু করতে পারবো। ইতোমধ্যে চালকদেরকে পদোন্নতী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারা বাংলাদেশের তেলের গাড়ীগুলো সব চট্টগ্রাম থেকেই যায়। মালগাড়ীসহ সব কন্টেইনার সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে। সব কন্টেইনার ট্রেন বন্ধ করে কক্সবাজারের ট্রেন চালু করা যাবে না।
এসময় রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহদাত আলী ও রেলের পূর্বাঞ্চলীয় জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।