বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে বসুন্ধরার এলপিজি বহনকারী ‘সুফিয়া’ জাহাজের পর ‘ক্যাপ্টেন নিকোলাস’ নামক আরেক জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল ওই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার ভোর পর্যন্ত কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী উদ্ধার কাজ চালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের (চট্টগ্রাম) ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক।
তিনি জানান, জাহাজটিতে এক ইন্দোনেশিয়ান চিফ অফিসার ছিল। এছাড়া ভারতীয় ও বাংলাদেশী ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জাহাজের সিনিয়র নাবিক আতিক ইউ খান জানিয়েছেন, লাইটারিং অপারেশন শেষে এলপিজি ক্যারিয়ার্স ‘বি-এলপিজি সোফিয়া’ মাদার ভেসেল নিকোলাস থেকে আলাদা করার সময় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গভীর সাগরে নোঙর করা জাহাজে আগুনের খবর প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড কাজ করছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার পশ্চিম দিকে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করা একটি জাহাজে আগুন লাগার দৃশ্য দেখা যায়। অনেক দূর থেকে ওই নৌযানে স্পষ্ট আগুন জ্বলতে দেখা যায়। স্থানীয়দের ধারণা মাঝ সমুদ্রে হয়তো গ্যাস সিলিন্ডার অথবা অন্য কোনো কারণে জাহাজে আগুন লাগতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আগুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও আগুনের কারন কিংবা হতাহতের তথ্য জানাতে পারেনি।
গত ৫ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত ‘ওটি বাংলার সৌরভ’ নামক একটি ট্যাঙ্কার জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। চার্লি এঙ্করেজ নামক আউটারে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের তেলবাহী জাহাজে এ ঘটনা ঘটেছিলো।