বুধবার- ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪

ফিরে দেখা-২০২৩

বছরজুড়ে ভোগ্যপণ্যের বাজারে ক্রেতাদের ভোগান্তি

print news

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বিদায়ী ২০২৩ সাল ছিল ভোক্তাদের জন্য চরম অস্থিরতার বছর। সারা বছরই আমরা পণ্যের সংকট দেখেছি। দেখেছি ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতাও। যার ভুক্তভোগী আমরা ভোক্তারা।

বছরজুড়ে চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের বাজারে লেগে আছে ক্রেতাদের ভোগান্তি। যা বছর শেষেও কাটেনি। ফলে ভোগ্যপণ্যের দাম এখনো আকাশছোঁয়া। বছরের মধ্যে কোনো এক পণ্যের দাম একটু কমলেও আবার একাধিক পণ্যের দাম বেড়েছে অত্যাধিক। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরাও লুটেছে অধিক মুনাফা।

যা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগরীর চাক্তাই হামিদুল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক ডলার সংকট, পণ্য রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা, আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা-বাণিজ্যে অস্থিরতা নেমে আসে।

বিশেষ করে তেল, চিনি, ডাল, গম, পেয়াঁজ, আদা-রসুন, ডিম, কাঁচামরিচ, শুকনো মরচি ও মসলাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম হয়ে পড়ে নিয়ন্ত্রণহীন। ফলে সংসার সামলাতে সারাবছর হিমশিম খেতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এর মধ্যে বেশি ভুগেছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ।

অস্থিরতা নিয়েই বছর শুরু

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে বৈশ্বিক ডলার সংকট শুরু হয়। যার কারণে বিশ্বজুড়ে নেমে আসে ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম অস্থিরতা। আর এই অস্থিরতা নিয়েই শুরু হয় বছর। বিশেষ করে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় বছরের শুরুতে চিনির সংকট দেখা দেয় চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের বাজারে। প্রতি কেজি চিনির পাইকারি দাম তখন ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে দাড়ায় ১০৬ টাকায়। আর খুচরা দোকানে বিক্রি হয় ১২০ টাকায়।

Ctg saltamami news

আবার জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে চড়া হতে থাকে আদা-রসুনের দাম। পণ্য দুটির কেজিতে দাম বাড়ে ৪০-৫০ টাকা। এলসি জটিলতায় আমদানি কমার অজুহাতে সেসময় পাইকারিতে প্রতি কেজি চায়না রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, ভারতীয় রসুন বিক্রী হয় ৭৫-৮০ টাকা দরে। অন্যদিকে প্রতি কেজি চায়না আদা বিক্রি হয় ১৮০-২০০ টাকা, মিয়ানমারের আদা কেজিতে ৬০ টাকা ও থাই আদা বিক্রয় হয় ১০০-১২০ টাকায়।

জানুয়ারি মাসের শেষে দাম বৃদ্ধিতে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় শুকনো মরিচের। হঠাৎ দ্বিগুণ দাম বেড়ে শুকনো মরিচের কেজি বিক্রী হয় ৪০০ টাকায়। অথচ আগের বছরের শেষের দিকেও শুকনো মরিচ বিক্রী হয় কেজিপ্রতি ১৮০-২০০ টাকায়।

ফেব্রুয়ারিতে আরও চড়া ভোগ্যপণ্যের দাম

১ ফেব্রুয়ারি থেকে খুচরা বাজারে ১০৭ টাকা দরে খোলা চিনি বিক্রির নির্দেশ দেয় সরকার। অথচ পাইকারিতে তখনো বিক্রি হচ্ছিল ১১৫ টাকায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এই সুবিধা ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়। এরপর নিম্নমুখী হয় চিনির বাজার। তখন পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ১০৫ টাকায়। যদিও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। খুচরাতে তখনো প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ১১৫ টাকায়। তবে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে খাতুনগঞ্জে কেজিতে ১২ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৩২-৩৩ টাকা ও ভারতের নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৩৬ টাকায়।

আরও পড়ুন :  সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে শতকোটি টাকা!

মার্চে আবারও দাম বাড়ে চিনির

২৬ ফেব্রুয়ারি চিনি আমদানিতে শুল্ক কমালেও মার্চে এসে পাইকারিতে প্রতি মণে ১৩০ টাকা বেড়ে ৪ হাজার ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। ক্রমাগত সরবরাহের ঘাটতি ও রমজানে বহুল ব্যবহৃত পণ্যের চাহিদা বাড়ার কারণে চিনির দাম বাড়ে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এর প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারেও। খুচরায় প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ১১৫-১২০ টাকায়।

এপ্রিলে কমে আসে ভোগ্যপণ্যের দাম

এপ্রিলে পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে কমে আসে পণ্যের দাম। সেসময় প্রতি মণ সয়াবিনে ৫৬০ টাকা কমে ৬ হাজার ২০ টাকা, পাম তেলে ৩২০ টাকা কমে ৪ হাজার ৬২০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা কমে গোলমরিচ ৬০০ টাকা, ৩০ টাকা কমে এলাচ ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি জিরা ৫৮০ টাকা, ৭ টাকা কমে প্রতি কেজি দারুচিনি ৩১৫ টাকা, ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি জয়ত্রী ২ হাজার ৮৫০ টাকা, ৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি জায়ফল ৬৩০ টাকা, ৫০ টাকা কমে লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমে প্রতি কেজি কাঠবাদাম ৭০০, পেস্তা ২ হাজার ৭০০ ও কাজুবাদাম ৯৩০ টাকায় বিক্রি হয়। এ সময় কমে যায় বেচাকেনাও।

মে মাসে আবারও বাড়ে চিনির দাম

মে মাসে আবারও বাড়ে চিনির দাম। ফলে ১০ মে সরকার খোলা চিনির কেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বাজারে ১৪০ টাকার নিচে চিনি পাওয়া যায়নি। ফলে অভিযানে নামে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

Ctg saltamami

অভিযানে চিনি, আদা ও পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের নানা কারসাজির প্রমাণ পান। এ সময় আদালত দেখতে পান ১৫০ টাকায় আদা কিনে ব্যবসায়ীরা ২২৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। ডিও কারসাজি করে দ্বিগুণ দামে চিনি বিক্রি করছিলেন। ফলে তারা মূল্য তালিকা ও ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করেনি। এ সময় অনেক পেঁয়াজ আড়তদার তাদের আড়ত ও দোকান বন্ধ করে সরে যান।

জুনে টালমাটাল পেঁয়াজ, আদা ও গমের বাজার

জুনে টালমাটাল হয়ে পড়ে পেঁয়াজ, আদা ও গমের বাজার। তখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দিলেও অবস্থার বেগতিক দেখে ৪ জুন আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানির অনুমতি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকায় নেমে আসে।

আরও পড়ুন :  শান্তিচুক্তির ২৭ বছরেও পাহাড়ে অশান্তি, চুক্তির মুলে নোবেল পুরুস্কারের লোভ

এদিকে জুন মাসের মাঝামাঝিতে এসে খাতুনগঞ্জে বাড়তে শুরু করে গমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে মণপ্রতি গমের দাম ৮০-১০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়। আবার জানুয়ারিতে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হওয়া আদা জুনে এসে বিক্রি হয় ২২০-২৩০ টাকায়।

জুলাই মাসে অস্থিরতা আরও বাড়ে

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে আসে রাশিয়া। ফলে জুলাই মাসে এসে আরও অস্থির হয়ে পড়ে গমের বাজার। মাসের ব্যবধানে মণপ্রতি আরও ১৭০ টাকা বেড়ে গম বিক্রি হয় ১ হাজার ৮২০ টাকায়। এ মাসে প্রতি কেজি চিনিও বিক্রি হয় ১২৫ টাকারও বেশি দামে। এ মাসের শুরুতে বাড়ে কাঁচা মরিচের দামও। যা মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দাম বেড়ে দাড়ায় ১০০০ টাকা পর্যন্ত।

আগস্টে ভারতের শুল্কবৃদ্ধিতে আবারও চড়া হয় পেঁয়াজ

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ভারত প্রায় ৪৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করায় আগস্টে এসে অস্থির হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬৫-৭০ টাকায়। খুচরায় ওই পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হয়েছিল ৭০-৮০ টাকায়।

এছাড়া আগস্টে ভারী বৃষ্টিতে বন্যার অজুহাতে রসুন, আদা, মসলা, ডিমসহ বেশির ভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি রসুন ১৯০-১৯৫ টাকা এবং মিয়ানমারের আদা ১২০-১৩০ টাকা এবং ইন্দোনেশিয়ার আদা ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হয়। গত ২৩ আগস্ট কেজিতে ৪৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি এলাচ ২ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে মাসের শেষে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সেপ্টেম্বরে আরও বাড়ে ডাল, আদা-রসুনের দাম

সেপ্টেম্বরে এসে মোটা মসুর ডালের পাশাপাশি বেড়ে যায় সব ধরনের মসলার দাম। মোটা মসুর ডালের কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১০৫-১১৫ টাকায়। একইভাবে মোটা মুগ ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১১০-১১৫ টাকা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ আগের মতো ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হয়।

ctg Yearl Follow

অস্থির হয়ে ওঠে আদা, রসুনের বাজারও। খাতুনগঞ্জে আমদানি করা প্রতি কেজি আদা মানভেদে ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হয়, যা খুচরাতে বিক্রি হয় ২৩০ টাকার ওপরে। একইভাবে পাইকারিতে ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া রসুন খুচরায় বিক্রি হয় ১৮০-২০০ টাকায়। এলাচের কেজিতে ৩৫০ টাকার ওপরে বেড়ে বিক্রি হয় ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। এছাড়া জিরা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গসহ প্রায় মসলার দামই কেজিতে বেড়েছিল ৩০ থেকে ৭০ টাকা।

আরও পড়ুন :  আইনজীবী না থাকায় চিন্ময়ের জামিন শুনানি পিছিয়ে ২ জানুয়ারি

অক্টোবরে কমে মসলার দাম

অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কমতে শুরু করে মসলার বাজার। কেজিতে ৪০ টাকা কমে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয় ১ হাজার ৪০ টাকায়। এলাচের কেজিতে ২০০ টাকা কমে ২ হাজার ২০০ টাকা, লবঙ্গের কেজিতে ১০০ টাকা কমে ১ হাজার ২৬০ টাকা, গোলমরিচে ১৫ টাকা কমে ৬০৫ টাকা, জায়ফল ৩০ টাকা কমে ৬৬০ টাকা, জয়ত্রী ৮০ টাকা কমে ২ হাজার ৫৫০ টাকা, মিষ্টি জিরা ৪০ টাকা কমে ২৭০ টাকা, ভারতীয় শুকনো মরিচ ৪০ টাকা কমে ৩৭০ টাকা এবং দেশীয় (পঞ্চগড়) মরিচ ২৩ টাকা কমে প্রতি কেজি ২৬৮ টাকায় বিক্রি হয়। তাছাড়া কালোজিরা (ভারতীয়) ৬০ টাকা কমে ২৪০ টাকায়, তেজপাতা ১৫ টাকা কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে দারুচিনি ৩৪৫ টাকা ও ধনিয়া ১৫ টাকা বেড়ে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়।

নভেম্বরে হরতাল-অবরোধের ছাপ

নভেম্বরে টানা হরতাল-অবরোধে সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ার শঙ্কায় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। স্বাভাবিক দিনগুলোয় কমপক্ষে ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও আসাদগঞ্জে প্রবেশ করলেও তখন দিনে ১২০-১২৫টি ট্রাক আসে খাতুনগঞ্জে। ফলে স্বাভাবিক সময়ে হাজার কোটি টাকার লেনদেন হলেও তখন তা মাত্র কয়েকশ কোটি টাকায় নেমে আসে। এ সময় চিনি প্রতি মণ ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে পাইকারি বিক্রয় হয় ৫ হাজার ৫০ টাকা থেকে ৫ হাজার ১০০ টাকায়।

ডিসেম্বরে পেঁয়াজ নিয়ে ফের নাটকীয়তা

৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। এ খবর শুনার সাথে সাথে ওই দিন সন্ধ্যা থেকে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রয় হয়। সেই কারসাজি করে ৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে আড়তে পেঁয়াজ নেই লেখা স্টিকার ঝুলিয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। পরে অভিযানে নেমে গুদামে পেঁয়াজ মজুদ করে রাখার প্রমাণও পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ কারণে চট্টগ্রামের অন্তত ২২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। তবু পাইকারিতে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১৭০ টাকা, পাবনার মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮৫-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বিদায়ী ২০২৩ সাল ছিল ভোক্তাদের জন্য চরম অস্থিরতার বছর। সারা বছরই আমরা পণ্যের সংকট দেখেছি। দেখেছি ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতাও। যার ভুক্তভোগী আমরা ভোক্তারা।

ঈশান/মখ/সুপ

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page