বুধবার- ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালে চট্টগ্রামের ক্ষতি পৌনে ৪৩ কোটি টাকা

ঘূর্ণিঝড় রিমালে চট্টগ্রামের ক্ষতি পৌনে ৪৩ কোটি
print news

ঘূর্ণিঝড় রিমালে চট্টগ্রামের ক্ষতি প্রায় পৌনে ৪৩ কোটি টাকা। সম্প্রতি জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর ক্ষয়ক্ষতির এই প্রাথমিক হিসাব নির্ধারণ করেছে। তবে এই তথ্য মানতে রাজী নন চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাসেম।

তিনি বলেন, ত্রাণ ও পূনর্বাসন দপ্তারের এই তথ্যের সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। এই তথ্য লুটপাটের। এই তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি কোন বরাদ্দ মিললেও চট্টগ্রামবাসীর কোন উপকারে আসবে না।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের হিসেব মতে, ঘুর্ণিঝড় রিমালে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, ফটিকছড়ি পটিয়া ও সাতকানিয়াসহ মোট ৭টি উপজেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

আরও পড়ুন :  শান্তিচুক্তির ২৭ বছরেও পাহাড়ে অশান্তি, চুক্তির মুলে নোবেল পুরুস্কারের লোভ

বাকি উপজেলাগুলোর মধ্যে সন্দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে। উপজেলাটিতে মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৮ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার ১৭৪ টাকার।

এছাড়া বাঁশখালী উপজেলায় ১ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, লোহাগাড়া উপজেলায় ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, সীতাকুণ্ড উপজেলায় এক কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকার, মিরসরাই উপজেলার ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকার, আনোয়ারা উপজেলায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার, কর্ণফুলী উপজেলায় ৫৮ লাখ টাকার এবং চন্দনাইশ উপজেলায় ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন :  সেনাবাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের

চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে চট্টগ্রামে ৪২ কোটি ৭২ লাখ ৬১ হাজার ১৭৪ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা হিসেব করে এই প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল, যেটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। এটি গত ২৬ মে সন্ধ্যা থেকে ২৭ মে সকাল নাগাদ স্থলভাগ অতিক্রম করে। এ সময় চট্টগ্রামে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পাকা বোরো ধান কেটে নেওয়ায় কোনরকম ফসলহানি হয়নি। এমনকি কোন ধরণের প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটেনি।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলে আসনের ৬২ গুণ ভর্তির আবেদন!

ত্রাণ ও পূনর্বাসন দপ্তারের এই তথ্যের সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই দাবি করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাসেম। তিনি বলেন, এই তথ্য লুটপাটের। তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি বরাদ্দ মিললেও চট্টগ্রামবাসীর কোন উপকারে আসবে না।

ঈশান/মখ/সুপ

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়

You cannot copy content of this page