সোমবার- ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রামে আ‘লীগ ও ভারতীয় দালালদের হুঁশিয়ারী বৈষম্যবিরোধীদের

চট্টগ্রামে আ‘লীগ ও ভারতীয় দালালদের হুঁশিয়ারী বৈষম্যবিরোধীদের
print news

ওয়ামী লীগ ও ভারতীয় দালালদের হুঁশিয়ারীর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে পালিত হলো বৈষম্যবিরোধীদের সপ্তাহব্যাপী কেন্দ্রঘোষিত রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচি। বিক্ষোভের পাশাপাশি কর্মসূচিতে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর স্টেশনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এতে হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে সেখান থেকে রোডমার্চ করে দুই নম্বর গেইট হয়ে মুরাদপুরে গিয়ে নিহতদের স্মরণ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। এ সময় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। প্রশাসনের সব কাঠামো থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ করা কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে। শিক্ষার্থী হত্যার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

এ সময় মিছিলে আন্দোলনকারীরা ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার-সাবধান, আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার-সাবধান, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না- এ ধরণের বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় তারা চার দফা দাবির কথা বলেন।

দাবিগুলো হলো- ১. ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।

২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।

৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা।

৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।

উল্লেখ্য, সোমবার (১২ আগস্ট) চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে সাত দিন সারা দেশে রেজিস্ট্যান্স উইক পালনের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের আবু বাকের মজুমদার।

এর আগে গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য রাস্তায় নামেন সারাদেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দেন। গত ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিন জন নিহত হন। পরে আন্দোলন করতে গিয়ে আরও তিন জন নিহত হন। এরপর সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ পরবর্তী সহিংসতায় হাটহাজারী উপজেলায় একজন ও চট্টগ্রাম কারাগারের সামনে আরও একজন নিহত হন।

ঈশান/মখ/সুপ

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়

error: Content is protected !!