বৃহস্পতিবার- ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪

ড্রোন উড়িয়ে মশার বাসস্থান খুঁজছে চসিক

print news

ড্রোন উড়িয়ে মশার বাসস্থান খুঁজছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। তাতে নগরীর বিভিন্ন বহুতল ভবনের সুইমিংপুল আর ছাদবাগানে জমে থাকা পানিতে গড়ে ওঠা মশার আবাসস্থল ধরাও পড়েছে।

রবিবার (৯ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, সকালে নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে চালানো অভিযানে মশার এ আবাসস্থল ধরা পড়ে। এ সময় ছাদে মশার লার্ভা ও আবাসস্থল পাওয়ায় চসিকের ¯েপশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন ৭টি ভবনের মালিকপক্ষকে মোট ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাকি ভবন মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টিতে বিতরণ করা হয়েছে হাজারো লিফলেট।

আরও পড়ুন :  রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিসিও অফিসের ঘুষের কবলে আউটসোর্সিং শ্রমিকরা

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহি এডিশ মশা নিধনে ড্রোন উড়িয়ে বহুতল ভবনগুলোর ছাদ পর্যবেক্ষণ অভিযান চালানো হয়। এতে প্রায় সবগুলো ভবনের ছাদেই পানি জমে থাকতে দেখেছি। সবাইকে ডেকে সতর্ক করছি, পরবর্তীতে উনারা জমে থাকা পানি না সরালে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিব।

তিনি বলেন, আমরা ৪৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লার্ভিসাইডসহ বিভিন্ন মশা নিধনকারী ঔষধ ছিটাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে সাফল্যপ্রাপ্তিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু অসচেতন বাড়ি মালিকের ছাদে জমে থাকা পানি। বিশেষ করে সুইমিংপুল আর ছাদবাগানগুলো মশার নিরাপদ আবাসস্থল হয়ে উঠেছে। অনেক বাড়ির মালিক আবার নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কর্মীদের ছাদে উঠতে দেন না। আমরা মশার ঔষধ ছিটাচ্ছি নালা-নর্দমায় কিন্তু আবাসিক ভবনগুলাইে হয়ে উঠছে মশার বড় আবাসস্থল। তাই বাধ্য হয়ে ড্রোন উড়িয়ে ছাদ পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন :  রাঙ্গুনিয়ার পোল শিক্ষিকা মালেকা দু‘বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরীর স. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে!

চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি জানান, নগরীর মোট ৬০টি আবাসিক এলাকায় ক্রমান্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ক্রাশ প্রোগ্রামকে সফল করতে মশক নিধনে লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, মশার সংক্রমণ কমাতে আমরা ১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জোর দিচ্ছি। আরবান ভলান্টিয়ার ও রেডক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ারদের ৮টি টিম গঠন করে নগরীর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে তাদের বাসায় জমে থাকা পানি অপসারণের আহ্বান জানানো হচ্ছে এবং মশার ঔষধ ছিটানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন :  রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিসিও অফিসের ঘুষের কবলে আউটসোর্সিং শ্রমিকরা

অভিয়ানে চসিক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, জেসমিন পারভীন জেসীসহ নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি কল্যাণ পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page