পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমুল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, আমরা কোনও ধর্ম, দেশ বা জাতির ওপর অত্যাচার সমর্থন করি না। কিন্তু কেন্দ্র সরকার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। আমরা চাই মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদোয়ারা সবই থাকবে। প্রত্যেকেই যেন তাঁর নিজস্ব ধর্ম পালন করতে পারেন।
বাংলাদেশ-ভারতের চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা ভালোবাসি। তারাও আমাদের এবং বাংলাকে ভালোবাসেন। আমরা সবাই এক। তাঁদের এবং আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও পোশাক এক। আমরা চাই না ধর্মে-ধর্মে বিভেদ করা হোক এবং তার রেশ আমাদের উপর পড়ুক। মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদোয়ারা সবই থাকবে। প্রত্যেকেই যেন তাঁর নিজস্ব ধর্ম পালন করতে পারেন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আজকালের প্রতিবেদনে মমতার এ বক্তব্য তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা দুঃখিত, মর্মাহত। অনেক মানুষ আগেও মারা গেছেন। এখনও অত্যাচারিত হচ্ছেন। আগেও অনেক ছাত্র-ছাত্রী মারা গেছেন। কোনো ধর্মের মানুষের ওপর অত্যাচারই আমরা সমর্থন করি না।’ এক্ষেত্রে যে রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই সেকথাও ইঙ্গিত করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূমিকা খুবই সীমিত। কারণ, দুটো আলাদা দেশ। ভারত সরকার এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারে।’