বিশ্বের সব চেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে কান। এবার সেখানেও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে জোরালো সমর্থন আদায়ে সক্ষম হয়েছে মার্কিন সুপার মডেল অভিনেত্রী বেলা হাদিদ। আরেক সুপার মডেল জিজি হাদিদের বোন তিনি। তাদের বাবা মোহামেদ হাদিদ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা নিয়ে দুই বোন সব সময়ই সরব।
সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন বেলা হাদিদ। আর সেখানেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ দিয়ে বানানো পোশাকে নজর কেড়েছেন তিনি। স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের দূত হয়ে যেন ফ্রান্সের কান সৈকত থেকে দ্যুতি ছড়ালেন বেলা! এ সময় উৎসবের অতিথিরা তাকে ব্যাপক সমর্থন জানান।
ইনস্টাগ্রামে ছবিগুলো শেয়ার করে বেলা হাদিদ লিখেছেন, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন ফরেভার’। শিরোনামের সঙ্গে পোশাকের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন। এ সাহসী উদ্যোগের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন বেলা হাদিদ। এক্স হ্যান্ডলে একজন লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনি শিকড়ের প্রতি তার এই ভালোবাসায় মুগ্ধ।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘ফ্যাশনের সঙ্গে বিশ্ববাসীকে বার্তা দিয়ে বেলা নিজের শিকড়ের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন।’ বেলার পোশাকটি ডিজাইন করেছেন ডিজাইনার জুটি মাইকেল এবং হুশি। এর আগে ২০০১ সালে ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’র সিজন ফোরের একটি পর্বে ক্যারি ব্র্যাডশোর পরা কালো এবং সাদা কেফিয়াহ টপের নেপথ্যেও ছিলেন এই জুটি।
ফিলিস্তিনি বাবা মোহামেদ হাদিদ এবং মার্কিন মা ইয়োলান্ডা হাদিদের সন্তান বেলা। মডেলিংয়ের দুনিয়ায় মা ও বোন জিজি হাদিদ বেশ প্রভাবশালী। বাবা বড় ব্যবসায়ী। বেলার পুরো নাম ইসাবেলা খাইরিয়াহ হাদিদ। ক্যারিয়ারে ১৯ বার ভোগ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ হয়েছেন।
২০২২ সালে ব্রিটিশ ফ্যাশন কাউন্সিল তাকে ‘মডেল অব দ্য ইয়ার’ খেতাব দেয়। ২০২৩ সালে বিশ্বের ১০০ প্রভাশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান করে নেন বেলা হাদিদ। ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা নিয়ে কথা বলায় মডেলিং জগতেও জিজি ও বেলার চাপে পড়তে হয়েছে।
কিন্তু ফিলিস্তিনি রক্তের সম্পর্ক তো তারা ভুলতে পারেন না! রক্তের দায় মেটাতে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যেমন সরব থাকেন, আবার ফিলিস্তিনের গাজায় অবরুদ্ধ মানুষদের জন্য নিয়মিত মোটা অঙ্কের অনুদানও পাঠান।
উল্লেখ্য, ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে দিন দিন স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। ইতোমধ্যে ১৪৭ দেশ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে মাত্র ৮ দেশ এর বিপক্ষে। ফিলিস্তিনিদের আশা অচিরের তারা স্বাধীনতা অর্জন করবে।