ইসরায়েলের ওপরেএ সপ্তাহেই ইরান হামলা চালাতে পারে-এমন সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলা মোকাবিলার জন্য ইসরায়েল ও মিত্রদের প্রস্তুত থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে মিসাইল বহনকারী সাবমেরিন ও বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে।
ইরানের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলার জন্যই এগুলো পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি বলেন, এ সপ্তাহেই ইরান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের আক্রমণের জন্য ইসরায়েল ও তার মিত্রদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভয়েস অব আমেরিকাকে জানিয়েছেন, ইরানি সৈন্য ও যুদ্ধ সরঞ্জাম আক্রমণ করার জন্য নির্ধারিত জায়গায় মোতায়েন করা হচ্ছে।
ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়, রোববার গাইডেড মিসাইল বহনকারী সাবমেরিন ইউএসএস জর্জিয়া মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এ ছাড়া বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনকে মধ্যপ্রাচ্যে আরও দ্রুত পৌঁছানোর আদেশ দেন তিনি।
এসব উদ্যোগ মূলত মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের প্রেস সচিব মেজর জেনেরাল প্যাট রাইডার। সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা একটি বার্তা পাঠাতে চেষ্টা করছি— আমরা পরিস্থিতি শান্ত করতে চাই। আমরা ওই অঞ্চলে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সমর্থন করার জন্য সক্ষমতা বাড়াচ্ছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সোমবার মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির সরকার প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পরে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা গাজায় যুদ্ধ বিরতি ও জিম্মি মুক্তির প্রচেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।
নেতারা ইরান ও ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর আক্রমণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। তারা ইরানকে প্রস্তুতি থামানোর আহ্বান জানান এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আক্রমণের মারাত্মক পরিণতি নিয়েও আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা গত এপ্রিল মাসে ইসরায়েলের ওপর সরাসরি ইরানি আক্রমণের আগে সৈন্যদের একই ধরনের আনাগোনা দেখতে পেয়েছিলেন বলে জানান। ওই সময় ইরান তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল। তবে এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি অস্ত্রই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।