প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে চলে যান গার্মেন্টসকর্মী মা। ঘরে ছিলো পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে। সেই সুযোগে ছাত্রীকে পড়ার নাম করে ডেকে নিয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ফয়েজুল ইসলাম (৪৬) ধর্ষণ করে। পরে মায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারের পর ওই শিক্ষককে কারাগারে প্রেরণ করে আদালত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ্রেপ্তারকৃত ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গ্রেপ্তার ফয়েজুল ইসলাম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের সোনারখিল এলাকার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম নগরের শেরশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা। তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থীর মা গার্মেন্টসকর্মী। গত শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো তিনি তার মেয়েকে বাসায় রেখে কারখানায় চলে যান। তাদের বাসার পাশেই বাসা শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামের। সে তার কাছে প্রাইভেট পড়তো। শনিবার প্রাইভেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নেন শিক্ষক ফয়েজুল। এরপর পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে তা ভুক্তভোগীকে খাইয়ে ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে কর্মস্থল থেকে আসলে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে পুরো বিষয় খুলে বললে তার মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলায় শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে।