মঙ্গলবার- ১২ই নভেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিলে জনস্রোত, পুলিশ লাইন ও থানায় হামলা-আগুন

চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিলে জনস্রোত, পুলিশ লাইন ও থানায় হামলা-আগুন
print news

দত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ খবরে রাস্তায় জনস্রোত নেমে আসে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। করেন আনন্দ মিছিল। আবার এই মিছিল থেকে সিএমপির পুলিশ লাইন ও কোতোয়ালী থানায় হামলা চালানো হয়। দেয়া হয় আগুন।

সোমবার বিকেলে সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে এই হামলা চালানো হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা ৩টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, জামালখান, ওয়াসা মোড়, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক মিছিল বের হয়। কেউ হেঁটে, কেউ মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে এসব মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, শিশু, নারী, বয়োবৃদ্ধ সব বয়সীরা অংশ নেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের ব্যানারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরও চালানো হয়। হামলা চালানো হয় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায়ও। দেয়া হয় আগুন। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। তখন থানার ভেতরে পুলিশের লোকজন ছিল। বিক্ষুব্ধ জনতা বাইরে বিভিন্ন ধরনের ¯ে¬াগান দেন। তখন বিকেল সাড়ে ৪টা। একই সময়ে ভাঙচুর চালানো হয় দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনেও।

প্রত্যক্ষদর্র্শীরা আরও জানান, নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ছাত্র-জনতার মিছিল পরে কাজির দেউড়ি মোড়ে জড়ো হয়। এতে ওই মোড়টিতে মুহূর্তেই লাখ লাখ জনতার স্রোত দেখা যায়। এ সময় অনেকে স্লোগানে দেন। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শ্রমজীবীসহ সর্বস্তরের নাগরিক স্লোগান দিতে থাকেন।

কাজির দেউড়ি মোড় দিয়ে সেনাবাহিনী কয়েকটি গাড়ি যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে জনতার হাত মিলাতে দেখা যায়। কাজীর দেউড়িতে তাসকিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের কেউ মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়

You cannot copy content of this page