চট্টগ্রাম হিন্দুধর্মাবলম্বি ইসকনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় মামলা করায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ স¤পাদক মোহাম্মদ ফিরোজ খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ( ১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর চান্দগাঁও থানা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আজম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছেও। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দলীয় নীতি আদর্শ পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সাধারণ স¤পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, গত ২৫ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভের উপর হিন্দুধর্মের ইসকনের গেরুয়া পতাকা তুলে দেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক স¤পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিম্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮) কে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নামে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত রেখে থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা মো. ফিরোজ খান (৪৯)।
মামলায় এজাহারভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাস (২৫)।
মামলায় পেনাল কোডের ১২০ খ ধারা মোতাবেক অপরাধ ও ষড়মূলক শাস্তি, ১২৪ ক ধারামতে রাষ্ট্রদ্রোহ, ১৫৩ ধারা মতে দাঙ্গার জন্য উত্তেজনা দান ও ১০৯ মতে প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে রাজেশ ও হৃদয় নামের দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য ফিরোজ খান চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন উত্তর মোহরার বাসিন্দা। বিএনপির ওই ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক তিনি। এ বিষয়ে জানতে অব্যাহতি পাওয়া বিএনপি নেতা ফিরোজ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।