জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রামের পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৮ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, উক্ত অব্যাহতিপত্রটি ওই দিনই মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক, দুদক চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব, পরিচালকসহ এবং সরকারের সংশ্নিষ্ট সকল বিভাগে পাঠানো হয়েছে। অব্যাহতিপত্রের একটি কপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বরাবরেও প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিভিন্ন পত্রিকায় করা সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এবং দুদকে বিভিন্ন ব্যক্তির করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী সহ আরো অনেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেন। দীর্ঘ প্রায় চার বছর অনুসন্ধান করে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নামে হওয়া সংবাদ এবং অভিযোগের সত্যতার কোনো প্রমাণ এবং হুইপের নামে-বেনামে কোনো অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত অন্য এমপিদের দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে দুদক কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।
এর আগে গত এপ্রিলে হুইপের বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ের অভিযোগ তোলা পুলিশ পরিদর্শক সাইফ আমিনকে আদালত সাজা প্রদান করে। তার বিরুদ্ধে হুইপ আদালতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করেন।
এই ব্যাপারে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, আমি দেশের আদালত, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দুদক যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারে। তবে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া ছাড়া অনুসন্ধানের শুরুতেই মিডিয়ায় প্রকাশ করলে সমাজে সম্মানিত ব্যক্তিদের পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সম্মানহানী হয়।
তিনি বলেন, আমি দুদককে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য সাধুবাদ জানাই। যারা এইসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে মহান আল্লাহ হেদায়েত দান করুন। সত্যের জয় সবসময় হয়। আমার বেলায়ও সত্যের জয় হয়েছে।