সোমবার- ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪

চবিতে ছাত্রলীগের দু‘গ্রুপের ২০ ঘন্টার সংঘর্ষ থামাল র‌্যাব

print news

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দু‘গ্রুপের ২০ ঘন্টার সংঘর্ষ থামাল র‌্যাব। বুধবার (৩১ মে) দিবাগত রাত ১০টায় খাবার হোটেল বসা নিয়ে দু‘গ্রুপের নেতকর্মীদের কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। যা গভীর রাত পর্যন্ত চলে।

এরপর বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে দু‘গ্রুপের আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দুপুর ১টায় আবার সংঘর্ষ বাধে। তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষ থামে র‌্যাব আসার পর। ২০ ঘন্টায় এই তিন দফা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আর এ সময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি যেন অসহায় ছিল।

আরও পড়ুন :  কক্সবাজার থেকে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল বার আউলিয়া

এমন মন্তব্য করেছেন চবির প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার। তিনি বলেন, বৃহ¯পতিবার (১ জুন) বিকেল ৪ টার দিকে র‌্যাবের একটি টিম ক্যা¤পাসে প্রবেশ করে। এরআগে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বারবার চেষ্টা করেও শাটল ট্রেন ভিত্তিক ছাত্রলীগের গ্রুপ সিএফসি এবং সিক্সটি নাইনের সদস্যদের থামাতে পারেনি।

তিনি জানান, সর্বশেষ দুপুর ১টার দিকে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয়পক্ষ আলাদা আলাদা স্থানে অবস্থান নিয়ে পর¯পরের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে উভয় পক্ষে প্রক্টরসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদেও নাম জানা যায়নি।

আরও পড়ুন :  শান্তিচুক্তির ২৭ বছরেও পাহাড়ে অশান্তি, চুক্তির মুলে নোবেল পুরুস্কারের লোভ

কিন্তু শাহ আমানত হলের রমজান নামে এক ছাত্র গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হল ও সিক্সটি নাইন নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুইটি হলের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে।

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত ১০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে র‌্যাব ক্যা¤পাসে এসেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-পরিকল্পনা বিষয়ক স¤পাদক মাহফুজ আল মামুন (সিক্সটি নাইনের নেতা) ঢাকা হোটেলে খেতে গেলে সিএফসির কিছু কর্মী তার ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। এ থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলে আসনের ৬২ গুণ ভর্তির আবেদন!

সিক্সটি নাইন গ্রুপের এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিএফসির নেতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ছাত্রলীগের গ্রুপ সিএফসির নেতাকর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

অপরদিকে সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে পরিচিত।

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়

You cannot copy content of this page