চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের বছর পূর্ণ হয়েছে। গত বছর ৪ জুন রাতে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ৫১ জনের প্রাণহানী ও দুই শতাধিক শ্রমিক আহত হন। যারা সেই ঘটনার স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন এখনো।
তাদের অভিযোগ, এ দূর্ঘটনার পর মামলা হলেও হতাহতের দায় থেকে মুক্তি পেয়েছেন ডিপোর মালিকপক্ষ। ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিলেও হতাহতদের অনেক পরিবার এখনও মালিকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পায়নি। এমন অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক নামে একটি সংগঠনও।
শনিবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর চেরাগির পাহাড় মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, বিএম কনটেইনার ডিপোর দুর্ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম দুর্ঘটনা। ৫১ জন শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছে। প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর ডিপো কর্তৃপক্ষ বিবৃতির মাধ্যমে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, মারাত্নক আহত প্রত্যেক শ্রমিককে ছয় লাখ এবং অন্যান্য আহত শ্রমিকদের চার লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ডিএনএ টেস্টে চিহ্নিত না হওয়ার অজুহাতে এখনো আটজন নিহত শ্রমিকের পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
আহতদের বড় অংশ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পায়নি। আহতদের ৩৬ জন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় গত বছরের ১৮ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল। জেলা প্রশাসক ওই ৩৬ জনের তালিকা বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর পরেও তারা ক্ষতিপূরণ পায়নি।
অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে অনেক শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, শ্রম আইনের ১২৩ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত পাওনা বা ক্ষতিপূরণের টাকা সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক হলেও একবছরেও শ্রমিকরা তাদের পাওনা পাচ্ছে না। আহত শ্রমিকদের অনেকের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, অনেকে কানে শুনতে পায় না, অনেকে পায়ের উপর ভর দিয়ে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ফলে তাদের প্রায় সবাইকে পঙ্গুত্বের জীবন বরণ করে নিতে হচ্ছে এবং এক বছর ধরে তারা আয়-রোজগারহীন জীবনযাপন করছে।
বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ স¤পাদক আবু আহমেদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার পাহাড়ি ভট্টাচার্য, জাতীয় শ্রমিক লীগের সংগঠক লুৎফুর নাহার সোনিয়া, জেলা নির্মাণ শ্রমিক লীগের সভাপতি জাবেদ আলম, মহানগর লেবার ফেডারেশনের সাংগঠনিক স¤পাদক আলমগীর হোসেন ও জেলা জাতীয় শ্রমিক জোটের সাংগঠনিক স¤পাদক হুমায়ুন কবির।
ছেলের লাশ চান রবিউলের বাবা :
সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে নিখোঁজ হন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য রবিউল ইসলাম (২৭)। এখনও তার লাশের হদিস পায়নি স্বজনরা। নওগাঁ জেলার চকপাথুরিয়া মহল্লার পূর্বপাড়ার খাদেমুল ইসলামের ছেলে রবিউল। এক বছর ধরে রবিউলকে হারানোর শূন্যতা বয়ে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা।
রবিউলের পরিবার জানায়, এসএসসি পাস করার পর ২০২০ সালের নভেম্বরে ফায়ার সার্ভিসের চাকরিতে যোগ দেন। চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ শেষে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেন প্রথম কর্মস্থল সীতাকুন্ডের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে। গত বছরের ৪ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি রবিউল। পাওয়া যায়নি তার লাশও।
রবিউলের বাবা খাদেমুল ইসলাম বলেন, আমার দুই ছেলে, এক মেয়ে। রবিউল ছিল সবার বড়। ছোট ছেলে রনি আহমেদ নওগাঁর একটি কলেজে অনার্সে পড়ছেন। মেয়ে নওমি আক্তার রিমঝিমের বয়স ৯ বছর। অনেক কষ্ট করে রবিউলের চাকরি হয়েছিল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার ১৭ মাসের মধ্যে তাকে হারিয়ে ফেলেছি। ছেলের লাশটিও পাইনি।
তিনি বলেন, আমি নানা রোগে আক্রান্ত। ঘটনার পর বলেছিল যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। চাকরি তো দূরের কথা আমরা কেমন আছি সে খবরও কেউ নেয়নি। আমার পরিবারে উপার্জন করার মতো কেউ নেই। আমার অনার্স পড়ুয়া ছোট ছেলের জন্য চাকরি চাই।
রবিউলের চাচা নাজিম উদ্দিন বলেন, চাকরি পাওয়ার পর রবিউলের অনেক স্বপ্ন ছিল। তারা নতুন করে আলাদা বাড়ি করবে। তার বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছিল। কয়েকটি মেয়ে দেখেছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সব স্বপ্নকে চাপা দিয়ে রবিউলই আমাদের ছেলে চলে গেছে।
তিনি বলেন, কেন আগুন নেভাতে গিয়ে রবিউলের মতো ১৩টি তাজা প্রাণ অকালে জীবন হারাবে। সেখানে কী এমন ছিল যা এখনও প্রকাশ পায়নি। যার কারণে তারা মারা গেছে। এতগুলো প্রাণ চলে যাওয়ার পেছনে কি কারও দায় ছিল না? তাদের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? রবিউলের লাশটি পর্যন্ত আমাদের বুঝিয়ে দিতে পারেনি। ডিএনএ টেস্টেও নাকি মেলেনি। তাহলে রবিউলের লাশটি গেল কোথায়?
সীতাকুন্ডের সিনিয়র ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা নূরুল আলম দুলাল বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে সীতাকুন্ডের ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রবিউল ইসলামসহ তিন জনের লাশ শনাক্ত হয়নি। এমনকি পরবর্তীতে ডিএনএ রিপোর্টেও তাদের লাশ শনাক্ত হয়নি।
এখনও ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন সুলতান মাহমুদ :
গত বছর ৪ জুন সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন সীতাকুন্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ। সাড়ে সাত মাস বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি এখন কিছুটা সুস্থ।
সম্প্রতি তিনি আবারও কর্মস্থল সীতাকুন্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগ দিয়েছেন। তবে এখনও সেই ক্ষত শুকায়নি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, শরীরের বিভিন্ন স্থানে এখনও যন্ত্রণা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছি।
সুলতান মাহমুদ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনা আমার জীবনের এক ট্র্যাজেডি। সেদিন খবর পেয়ে দ্রুত আমরা বিএম ডিপোতে আগুন নেভানোর জন্য ছুটে যাই। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। এরপর কী হয়েছে আমার আর কিছুই মনে নেই। পরে যখন জ্ঞান ফিরে দেখি সিএমএইচ এর বেডে আমি শুয়ে আছি। ২৮ দিন সিএমএইচে চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হই।
এরপর বাড়ি এবং অন্যান্য হাসপাতাল মিলে দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস নিয়মিত চিকিৎসাধীন ছিলাম। সেদিন আমি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও ভেঙে যায় আমার ডান হাত। শরীরে বুকে, পায়েসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছি। এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি হাত। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে যাচ্ছি। এরপরও বেঁচে আছি সেটার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
তিনি বলেন, সেদিনের দুর্ঘটনায় আমার বাহিনীর ১৩ জনকে হারিয়েছি। ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ৮ জন এবং সীতাকুন্ডের ফায়ার স্টেশনের ৫ জন রয়েছেন। তাদের ভুলতে পারছি না। হারিয়ে যাওয়া মুখগুলো সব সময় আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে। সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি চিকিৎসা শেষে চলতি বছর ১৯ জানুয়ারি কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে পুনরায় যোগদান করি।
নিহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের স্মরণ :
সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হন ৫১ জন। এর মধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন প্রাণ হারান। নিহতদের স্মরণে শনিবার রাতে দোয়া-মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন কুমিরা ও সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তারা।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ রবিবার (৪ জুন) এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন সদস্য মারা যান। আহত হয়েছেন অনেকেই। নিহতদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত হলেও তিন জনের পরিচয় মেলেনি। নিখোঁজ তিন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা হলেন- ফায়ার ফাইটার মো. রবিউল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান ও শফিউল ইসলাম। নিহতদের স্মরণে আমরা দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেছি।
মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন :
এ ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে গত ৩ মে চট্টগ্রাম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি নিছক দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনার জন্য কারও অবহেলা কিংবা ত্রুটি পায়নি তদন্তকারী সংস্থা।
এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত না করেই তড়িঘড়ি করে এ ঘটনায় করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। অথচ এ দুর্ঘটনার পর গঠিত ছয়টি পৃথক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে, দুর্ঘটনার জন্য মালিকপক্ষের অবহেলা ছিলো। ডিপো ব্যবস্থাপনায় ছিল ত্রুটি। ছিলো না প্রশিক্ষিত জনবল।
এছাড়া ঘটনায় ৭ জুন রাতে সীতাকুন্ড থানার এসআই আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে ডিপো মালিকের নাম বাদ দিয়ে আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার এজাহারেও বলা হয়, বিএম ডিপোতে ড্রামভর্তি কেমিক্যাল কনটেইনারে থাকার কথা ফায়ার সার্ভিসকে জানায়নি মালিকপক্ষ। এ কারণে কেমিক্যালভর্তি কনটেইনারের আগুন পানিতে নেভানো সম্ভব হয়নি। কেমিক্যালের কারণে এক কনটেইনার থেকে আরেক কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
যা বলছে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ :
সীতাকুন্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের এক বছর পর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বছরের বিস্ফোরণ একটি দুর্ঘটনা। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নীতিমালা অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়ার পরও কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। শনিবার (৩ জুন) রাতে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ৪ জুনের আকস্মিক অগ্নিকান্ড একটি দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নীতিমালা অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার পরও দুর্ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তারপরও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছি।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সব নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা। তাদের পরিবারের সব সদস্যদের জন্য রইল গভীর সমবেদনা। দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন এবং যারা জীবন বাজি রেখে অগ্নিকান্ড নির্বাপনে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আমরা প্রতিশ্রুতি মোতাবেক নিহতদের পরিবার ও আহতদের চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। ক্ষতিপূরণ প্রাপ্যদের সর্বশেষ তালিকা যাচাই-বাছাই সম্প্রতি শেষ হয়েছে। অতি শিগগির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া দূর্ঘটনা পরবর্তী বিএম ডিপোকে আন্তর্জাতিক মানস¤পন্ন অফডক হিসেবে পুনরায় গড়ে তোলার সামগ্রিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সমগ্র ডিপো ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ও ফোম সিস্টেমের আওতাধীন। কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য অফডক নীতিমালার নির্দেশনা মোতাবেক সামগ্রিক অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষিত জনবল এবং অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রাহকদের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ সমন্বিত কমপ্লায়েন্স টিমের সন্তুষ্টি প্রকাশের পর পুনরায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।