আফগানদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করছে টাইগাররা। তৃতীয় দিন শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৫ রান। জয়ের জন্য তাদের এখনো প্রয়োজন ৬১৭ রান। যা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব।
শুক্রবার (১৬ জুন) পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শরীফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ইব্রাহিম জারদান (০)। রিভিউ নিয়েও তিনি বাঁচতে পারেননি। আফগানদের চাপে রাখতে স্লিপে পাঁচ ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। সেইসঙ্গে কখনো ছিল এক গালি এবং এক শর্টলেগ।
সব মিলিয়ে কিপারসহ ৮ জন। দ্বিতীয় ওভারেই শিকারীর ভূমিকা নেন তাসকিন। বাংলাদেশের এই পেস তারকার বলে আব্দুল মালিক (৭) ধরা পড়েন লিটন দাসের গ্লাভসে। ১২ রানে নেই ২ উইকেট। ৬ষ্ঠ ওভারে তাসকিন আহমেদের ভয়ঙ্কর এক বাউন্সার হেলমেটে লাগায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদি (১৩)। পরে অলোকস্বল্পতায় বিকাল ৫টার দিকে তৃতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি টানা হয়। আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৫ রান। রহমত শাহ ১০* আর নাসির জামাল ৫* রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে ৪ উইকেটে অবশেষে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের লিড ছিল ২৩৬ রানের। তাই জয়ের জন্য আফগানদের টার্গে দাঁড়ায় ৬৬২ রান! আজকের দিনে বেশী রানের লিড, মুমিনুলের বেকর্ড ভাঙ্গলেন শান্ত। আরও অনেক রেকর্ড করলো টাইগাররা। ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল হক। এরপরপরই ক্যারিয়ারের ৫৭তম টেস্টে দ্বাদশ সেঞ্চুরিটি করলেন তিনি। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি শতরানের রেকর্ড তার দখলে।
ক্যারিয়ারের ২৩তম টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ পান ফর্মের তুঙ্গে থাকা শান্ত। একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে এতদিন এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি ছিল কেবল মুমিনুলের। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই কীর্তি গড়েন তিনি। পাঁচ বছর পর মুমিনুলের সঙ্গী হয়েছেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৭৫ বলে ১৪৬ রান।
এ পর্যন্ত টেস্ট তালিকায় এটাই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ লক্ষ্য দেওয়ার রেকর্ড, যদিও এখনো লক্ষ্য ঘোষণা শেষ হয়নি। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েকে হারারেতে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটাই ছিল এত দিন সর্বোচ্চ লক্ষ্য দেওয়ার রেকর্ড। এবার সেটিকে পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। রেকর্ড অবশ্য গড়েই ফেলেছেন শান্ত। এক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি চার মেরেছেন তিনিই। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে বাউন্ডারি এসেছিল ২৩টি, দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত ১৩টি। ৩৬ বাউন্ডারিতে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবালকে।