আসন্ন বিশ্বকাপের আগে নিজ দেশকে ওয়ানডে সুপার লিগে তৃতীয় স্থানে নিয়ে গিয়েছেন। সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ এই তামিমের নেতৃত্বেই। অথচ হঠাৎ করেই বিশ্বকাপের মাত্র তিন মাস আগে দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক।
ঠিক কি কারণে তামিম অবসর নিয়েছেন তা পরিষ্কার করেননি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নিয়ে দুই দিন ধরেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এর জন্ম দিয়েছেন তিনি নিজেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকাল প্রথম ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। এ ম্যাচে শতভাগ ফিট না হয়েও খেলেছেন দেশসেরা ওপেনার। তাঁর এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন বিসিবি সভাপতি। আর আজ হঠাৎই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন টাইগার অধিনায়ক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে কান্নাভেজা চোখে হয়ে এ ঘোষণা দেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক। তামিমের অবসর নেওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে অনেক। তবে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে বোর্ড সভাপতি ও হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের তামিমের প্রথম ওয়ানডে খেলা নিয়ে করা মন্তব্যকে দায়ী করছেন অনেকেই।
চোট থেকে সেরে উঠলেও এখনও শতভাগ ফিট নন তামিম। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কাল টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আগামীকালের ম্যাচে আমি খেলবো। শরীর আগের চেয়ে ভালো। এটা বলব না যে আমি শতভাগ ফিট। কাল খেলার পর আরও ভালো বুঝতে পারব যে কী অবস্থা। তবে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, আমি কাল খেলছি, ইনশাআল্লাহ।’
ম্যাচের আগের দিন দলের অধিনায়কের এমন মন্তব্যে বেশ চটেছেন বোর্ড সভাপতি। একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘এটি তো আর পাড়া-মহল্লার কোনো ম্যাচ নয়, আন্তর্জাতিক একটা ম্যাচ। এমন সিরিজের আগের দিন অধিনায়ক বলছে সে ফিট না। কিন্তু খেলবে। খেলে নিজের ফিটনেস বোঝার চেষ্টা করবে। এটা তো পেশাদার কোনো আচরণ হতে পারে না।’
হেড কোচ হাথুরুসিংহে বরাবরের মতোই তার কড়া শাসনের জন্য পরিচিত। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেন তিনি। লঙ্কান এই কোচের অধীনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের একটা অন্যরকম চাপ থাকে তা অতীত বলে দেয়। দলে পারফরম্যান্স থেকে ধরে ফিটনেস ইস্যু সব কিছুতেই কড়া নজর থাকে হাথুরুর। ক্রিকেট পাড়ায় তাই জোর গুঞ্জন হাথুরুসিংহের চাপে পড়েই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার।
তবে কি তামিমের অবসরের পেছনে হেড কোচই মূল কারণ নাকি আরো একাধিক কারণ রয়েছে। তবে তামিম তার বিদায়ী বার্তায় বলেছেন ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড়। তিনি আরো বলেছেন আমার টপিকটা এখানেই শেষ করুন। তামিমের এমন কথায় একটি বিষয় স্পষ্ট যে এক প্রকার চাপা কষ্ট নিয়েই দেশের ক্রিকেটকে বিদায় বললেন তিনি।