স্বপ্ন ছিল এবারের এশিয়া কাপ ফাইনাল খেলার। কিন্তু সুপার ফোরের প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে সেই স্বপ্ন ভেস্তে গেছে বাংলাদেশের। তবে শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
ম্যাচের পর আসন্ন বিশ্বকাপ ঘিরে আশার কথাই শুনিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের দল খুব ভালো হয়েছে। অনেকে ইনজুরি ছিল। আশা করি বিশ্বকাপে পুরো ফিট দল পাবো। তখন আমরা ভয়ঙ্কর দল হয়ে উঠবো।’
ভারতের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পরে বল হাতে ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। ম্যাচের পর অবশ্য সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়েছেন সাকিব। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘যেসব ছেলেরা সুযোগ পায়নি, আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম কোন কম্বিনেশনটা ঠিক হয়, শেষ কয়েকটা ম্যাচ দেখে ভেবেছি স্পিনাররা বড় অংশ হবে। এজন্য বাড়তি স্পিনার নিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত কাজে এসেছে।’
‘যখন মাহেদী বল করছিল, সহজ ছিল না। ও এসে আমাদের ব্রেক থ্রু দিয়েছি। সাধারণত অফ স্পিনার ডান হাতিদের উইকেট পায় না। ও আমাদের সেটা এনে দিয়েছিল। শেষদিকে টানা পাঁচ ওভার করাও সহজ ছিল না। আমার সাকিবকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। সে নতুনভাবে যেভাবে বল করেছে, দুটা উইকেট এনে দিয়েছে। আমাদের দরকারী বিশ্বাসটা এনে দিয়েছে। ওখান থেকে আমরা ফিল্ডিংও ভালো করেছি। অনেক ইতিবাচক দিকই আছে।’
নিজের ব্যাটিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি এশিয়া কাপে ভালো ব্যাট করছিলাম না। আজকে যখন তাড়াতাড়ি উইকেটে যেতে হলো, আমি ভাবলাম হাতে সময় আছে। নিজেকে সেট করলাম। যখন প্রথম বাউন্ডারি হাঁকালাম, ভালো অনুভব করতে শুরু করেছিলাম। ওখান থেকে আমি খুব ভালো ব্যাট করেছি মনে হয়। উইকেট চ্যালেঞ্জিং উইকেট ছিল। যখন বল পুরোনো হয়, ব্যাট করা একটু সহজ হয়েছে। কিন্তু স্পিনারদের খেলা কঠিন ছিল।’